ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে মঙ্গলবার তার সাক্ষ্য শোনার পর জেরার জন্য ২০ জুন দিন ঠিক করে দিয়েছেন বিচারক রবিউল আলম।
এ মামলার শেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহ মশিউর রহমান বর্তমানে সহকারী পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন। তদন্তের সময় তিনি ছিলেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক।
এর আগে গত ২০ মে তিনি আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে ঘটনার তারিখ ও তদন্তের সময়ক্রম সম্পর্কে সঠিকভাবে বলতে না পারায় বিচারক তাকে ভর্ৎসনা করেছিলেন।
জঙ্গিদের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার মধ্যে বিভিন্ন স্থানে লেখক-ব্লগার-অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টের উপর হামলার ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ ঢাকার তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়ীতে আক্রান্ত হন ওয়াশিকুর। নিজের বাসা থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের চাপাতির আঘাতে খুন হন তিনি।
সেদিন ঘটনাস্থল থেকেই আরিফুল ও জিকরুল্লাহ নামে দুজনকে ধরে পুলিশে দিয়েছিলেন কয়েকজন হিজড়া।
ওয়াশিকুরের ভগ্নিপতি মাসুদ ঘটনার দিনই তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশ ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর পাঁচজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয়।
আসামিরা হলেন- জিকরুল্লাহ ওরফে হাসান, আরিফুল ইসলাম আরিফ, সাইফুল ইসলাম, মাওলানা জুনায়েদ আহম্মেদ ওরফে তাহের ও সাইফুল ইসলাম ওরফে আকরাম।
২০১৬ সালের ২০ জুলাই অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে এই পাঁচ আসামির বিচার শুরু হয়।
ওয়াশিকুর তেজগাঁও কলেজ থেকে লেখাপড়া শেষ করে মতিঝিলের ফারইস্ট এভিয়েশন নামের একটি ট্র্যাভেল এজেন্সিতে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছিলেন। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর গ্রামে।
সামহোয়্যারইন ব্লগে ‘বোকা মানব’ নামে একটি অ্যাকাউন্ট থাকলেও তিনি মূলত ফেইসবুকের কয়েকটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেখালেখি করতেন।