সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানতে আগ্রহী দেখা গেলেও সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম তাদের জন্য কোনো সুখবর শোনানে পারেননি।
শব-ই কদরের পরের দিন আগামী ৩ জুন ছুটি ঘোষণা হলে এবারের রোজার ঈদে টানা নয় দিনের ছুটি পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
২০১৯ সালের বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী, রমজান মাস ২৯ দিন ধরে নিয়ে ৪, ৫ ও ৬ জুন ঈদুল ফিতরের ছুটি। রোজা ৩০টি হলে ঈদ হবে ৬ জুন, সেক্ষেত্রে ৭ জুনও ঈদের ছুটি থাকবে।
৫ জুন ঈদ হলে তিন দিনের ঈদের ছুটির সঙ্গে দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে ৪ থেকে ৮ জুন টানা পাঁচ দিন ছুটি পাওয়া যাবে।
৪ জুন ঈদের ছুটি শুরুর আগে ২ জুন থাকবে শব-ই কদরের ছুটি। এরপর ৩ জুন শুধু অফিস খোলা। প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী আদেশে ওই দিন ছুটি ঘোষণা করলে টানা নয় দিনের ছুটি মিলে যাবে সরকারি চাকরিজীবীদের।
২০১৬ সালে রোজার ঈদের সময় প্রধানমন্ত্রী একদিন ছুটি ঘোষণা করায় টানা নয় দিনের ছুটি পেয়েছিলেন সরকারি চাকুরেরা।
এবারও তারা সেই আশায় রয়েছেন।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানানোর সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, “এটা (ছুটি) নিয়ে (মন্ত্রিসভা বৈঠকে) আলোচনা হয়নি। আমার মনে হয়, এটা সামারির মাধ্যমে নিষ্পত্তি হবে, যদি হয় আর কী।”
৩ জুন ছুটি ঘোষণার সম্ভাবনা আছে কি না- এই প্রশ্নে শফিউল বলেন, “এখনও কোনো আলোচনা শুনিনি।”
প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার বিদেশে যাওয়ার পর ছুটির সিদ্ধান্ত কীভাবে হবে- একজন সাংবাদিকের এ প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিদেশে থাকলেও কাজ করেন।
“এটা ইন্টারনেটের যুগ, ফাইল মেইলে চলে যায়, মেইলে চলে আসে, কোনো সমস্যা হয় না।”