রোববার বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত ‘এসডিজি বাস্তবায়নে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের গুরুত্ব’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
এই সভায় আসা ট্রান্স-জেন্ডার প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদে তাদের ‘নতুন নাম’ নিয়ে বিভ্রান্তির কথা তুলে ধরেন সভায়।
মন্ত্রী নুরুজ্জামান বলেন, “ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে গেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন অধিদপ্তরের আইনি কাঠামো পাল্টাতে হবে।
“আমরা এসডিজি বাস্তবায়নের পথে বলছি, নো ওয়ান লেফট বিহাইন্ড। ট্রান্স-জেন্ডার কমিউনিটির নাম বিভ্রান্তি দূর করতে হবে। এ নিয়ে আমরা মন্ত্রণালয়ে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।”
সভায় ট্রান্স-জেন্ডার কমিনিটির সদস্যরা বলেন, পুরুষ থেকে নারী বা নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরের পর এখন তারা আগের নামটি বাদ দিয়ে তাদের পছন্দসই’ নামে পরিচিত হতে চান। বদলে ফেলতে চান জাতীয় পরিচয়পত্রের নামও।
সভায় নির্বাচনের কমিশনের সদ্য সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, হিজড়া সম্প্রদায়ের জন্য আলাদাভাবে ভোটার তালিকা প্রণয়ন করবে নির্বাচন কমিশন। ভোটের দিনে তাদের জন্য থাকবে আলাদা লাইন। তাদের প্রতিনিধিরা চাইলে প্রার্থীও হতে পারবেন।
তিনি জানান, ট্রান্স-জেন্ডারদের কেউ ভোটার তালিকায় নাম পরিবর্তন করতে চাইলে আইনি কাঠামো পরিবর্তন না হলে সম্ভবপর নয়।
জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন অধিদপ্তরের যুগ্ম সচিব মো. মেজবাহুল আলম জানান, ট্রান্স-জেন্ডারদের নাম পরিবর্তন করতে গেলে তাদের দুটো নামই উল্লেখ থাকবে। সেই সাথে উল্লেখ থাকতে হবে তিনি পিতামাতার কততম সন্তান।
ট্রান্স-জেন্ডারদের নাম পরিবর্তনের ‘জটিলতা’ নিরসনে তিনি সংসদে বিশেষ আইন প্রণয়নের পরামর্শ দেন।
শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধি হিসেবে সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক হারুন-আর-রশিদ ট্রান্স-জেন্ডারদের নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে মনস্তত্ববিদদের নিয়ে বিশেষ কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন।
বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সেলিমা আহমাদ এমপি বলেন, “ট্রান্স-জেন্ডারদের জন্য স্বল্প মেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। আইনগত দিকটির পাশাপাশি নজর দিতে হবে সামাজিক দৃষ্টিকোণ ও আর্থিক দিক থেকেও।”
এই সভায় সভাপতিত্ব করেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।