রোববার দুপুরে ঢাকার ফার্মগেইটের কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে দুস্থদের মধ্যে ঈদবস্ত্র বিতরণের সময় নিজের বাহিনীর সদস্যদের ‘মেজাজ’ দেখানোর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন তিনি।
আছাদুজ্জামান বলেন, অপরাধীকে সমীহ করলে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না।
“তাদের (অপরাধী) উপর পুলিশি মেজাজ দেখাতে হয়।”
তবে সবার ক্ষেত্রে এই আচরণ করা হয় না বলে দাবি করেন তিনি।
“যিনি ভালো, তার প্রতি আমাদের ব্যবহার অনেক ভদ্র, মাথা নিচু করে তার প্রতি সম্মান জানাই।”
আছাদুজ্জামানই গত ২৪ এপ্রিল এক অনুষ্ঠানে পুলিশ সদস্যদের উগ্র আচরণ না করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
ট্রাফিক পুলিশদের উদ্দেশে সেদিন তিনি বলেছিলেন, “কোনো অবস্থায় গালমন্দ, খারাপ আচরণ ও দুর্ব্যবহার করবেন না। কেউ আপনার উপর চড়াও হলে আপনি শান্ত থেকে দায়িত্ব পালন করুন।”
রোববারের অনুষ্ঠানে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে এই সময়ে ঢাকাবাসীর নিরাপত্তায় পুলিশ সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, “আমরা আপনাদের সাথে আছি, আপনাদের পাশে আছি, আপনারা নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করুন, উৎসব করুন।”
অপরাধ প্রতিরোধে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা নজরদারি চালাচ্ছেন বলেও আছাদুজ্জামান মিয়া জানান।
তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরীতে কোনো ছিনতাই, ডাকাতি, রাহাজানি, অজ্ঞান পার্টি থাকতে পারবে না।
“এদের খবর আমাদের দেবেন। আমরা তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করাব।”
ঢাকা মহানগরীতে ‘মাদক ব্যবসা চিরতরে বন্ধ’ করার ঘোষণাও দেন আছাদুজ্জামান।
এই অনুষ্ঠানে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. আবদুল বাতেন, যুগ্ম কমিশনার মহাঃ আশরাফুজ্জামান, যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) শেখ নাজমুল আলম, তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, মিরপুর বিভাগের উপ কমিশনার মাসুদ আহম্মাদ উপস্থিত ছিলেন।