জালিয়াতি: গাজীপুরের সাবেক সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে

জালিয়াতি করে জমির শ্রেণি পরিবর্তনের মাধ্যমে দলিল নিবন্ধন করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে গাজীপুরের সাবেক সাব-রেজিস্ট্রার গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 May 2019, 03:11 PM
Updated : 26 May 2019, 03:11 PM

ফারুকসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা দায়েরের অনুমোদন রোববার দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

চারটি দলিল নিবন্ধনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দলিলদাতা, গ্রহীতা এবং দলিল লেখকদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো করা হচ্ছে বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

গাজীপুর সদরের সাবেক সাব-রেজিস্ট্রার ফারুককে সব মামলায় আসামি করা হচ্ছে। তিনি বর্তমানে ফেনীর ছাগলনাইয়ার সাব-রেজিস্ট্রার। ফারুকের বাড়ি বগুড়ার ধুনট উপজেলার নছরতপুরে।

দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ফজলুল বারী এসব অভিযোগে অনুসন্ধান করে মামলা করতে সুপারিশ জানিয়ে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দিলে অনুমোদন দেয় দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি।

প্রনব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘শিগগিরই’ গাজীপুর সদর থানায় মামলাগুলো দায়ের করা হবে।

২০১৫ সালের ৫ নভেম্বর ৮৬০৯ নাম্বার দলিলে ৩৬ শতাংশ জমির শ্রেণি পরিবর্তনের মাধ্যমে নিবন্ধন করে সরকারের দুই লাখ ২০ হাজার টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগের একটি মামলায় ফারুকসহ পাঁচজন আসামি হচ্ছেন।

অন্যরা হলেন জমির দলিল দাতা মো. এখলাছ উদ্দিন চৌধুরী ও মো. শফিকুল ইসলাম, দলিল গ্রহীতা এমদাদ হোসেন ফিরোজ এবং দলিল লেখক জুয়েল আহম্মেদ।

একই বছরের ৪ নভেম্বর ৮৫৪৩ নম্বর দলিলে সোয়া পাঁচ শতাংশ জমির শ্রেণি পরিবর্তনের মাধ্যমে দলিল নিবন্ধন করে সরকারের দুই লাখ দুই হাজার টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে হচ্ছে আরেকটি মামলা।

এতে ফারুকের সঙ্গে আসামি হচ্ছেন দলিলদাতা মো. ফাইজ উদ্দিন, দলিল গ্রহীতা মো. আনোয়ার হোসাইন, মো. দেলোয়ার হোসাইন ও মো. ওমর ফারুক এবং দলিল লেখক ওয়াসিম শেখ।

ওই বছরের ৫ নভেম্বর ৮৬১৫ নম্বর দলিলে চার শতাংশ জমির শ্রেণি পরিবর্তনের মাধ্যমে দলিল নিবন্ধন করে সরকারের দুই লাখ ২১ হাজার টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে তৃতীয় মামলাটি হচ্ছে।

এ মামলায় অন্যান্য যারা আসামি হচ্ছেন তারা হলেন জমির দলিলদাতা খাতেমুন নেছা, রোকিয়া বেগম, রাশিদা বেগম ও আনোয়ারা বেগম, দলিল গ্রহীতা মো. আবু জাফর এবং দলিল লেখক মো. সেলিম মিয়া।

একই বছরের ১৬ নভেম্বর ৮৮৪৯ নম্বর দলিলে সাড়ে তিন শতাংশ জমির শ্রেণি পরিবর্তনের মাধ্যমে দলিল নিবন্ধন করে সরকারের এক লাখ ২৪ হাজার টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে চতুর্থ মামলাটি হচ্ছে।

এ মামলায় ফারুকের সঙ্গে আসামি হচ্ছেন দলিল দাতা মো. শামসুল হক, গ্রহীতা মো. এনামুল হক ও গ্রহীতা আমিরুল ইসলাম এবং দলিল লেখক মো. তোফাজ্জল হোসেন।