রূপায়নকে নয়, ঋণ দেওয়া হয় কাসেম ড্রাইসেলকে: জিএসপি ফাইন্যান্স

এফআর টাওয়ার অগ্নিকাণ্ডের পর ভবনটি নির্মাণে অনিয়ম নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের একটি তথ্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে জিএসপি ফাইন্যান্স।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2019, 03:32 PM
Updated : 23 May 2019, 05:09 PM

গত ১১ মে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত ‘এফ আর টাওয়ার: রাজউকের অনিয়মও আসছে বেরিয়ে’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় তারা ২০০৬ সালের ১৮ জানুয়ারি রূপায়ন গ্রুপকে ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা ঋণ অনুমোদন করে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে পাঠানো প্রতিবাদলিপিতে জিএসপি ফাইন্যান্স বলেছে, তারা রূপায়নকে নয়, ঋণ অনুমোদন করেছিল কাসেম ড্রাইসেলস লিমিটেডকে।

এফআর টাওয়ার ভবনটি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে তৈরি করেছিল রূপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেড। ওই ভবনে অনিয়মের মাধ্যমে বর্ধিত উপরের তিনটি তলা কিনে নিয়েছিল কাশেম ড্রাইসেল, যার মালিক অগ্নিকাণ্ডের পর দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন।

প্রতিবেদকের বক্তব্য

এফ আর টাওয়ারের অবৈধ অংশ দেখিয়ে ঋণ নেওয়া এবং সেই ঋণ নিতে রাজউকের অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছিল রূপায়ন গ্রুপকে।

রাজউকের সেই তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনে রূপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেডতে ঋণগ্রহীতা বলা হয়েছিল।

২০০৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি রাজউকের এস্টেট শাখা থেকে ঋণ গ্রহণের যে অনুমতিপত্র দেওয়া হয় সেটি রূপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছিল, কাসেম ড্রাইসেলস বরাবর নয়।

এছাড়া এই প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে রূপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেডের উপদেষ্টা পাটোয়ারি জহির উল্লাহও (পি জে উল্লাহ) বলেছিলেন, ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় তারা ঋণ পেয়েছেন।

ওই ভবনের তিনটি ফ্লোর কেনা কাসেম ড্রাইসেল ঋণের কিস্তি পরিশোধ করেছে বলে পি জি উল্লাহও জানান, যা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

পিজে উল্লাহর বক্তব্য ছিল এমন- “লোনের জন্য অ্যাপ্লাইয়ে রাজউক ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে। সেই লোনটা আবার আমাদের কাছ থেকে যিনি (কাসেম ড্রাইসেল) কিনেছেন তিনি ইউজ করেছেন।”

এফ টাওয়ার অগ্নিকাণ্ডের পর গৃহায়ন ও গণপুর্ত মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে ঋণে রাজউকের অনাপত্তিপত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।