বৃহস্পতিবার কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানিয়ে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, বৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে রুহুল আমিন হাওলাদারকে কমিশন থেকে শিগগিরই নোটিস পাঠিয়ে তার সম্পদের হিসাব চাওয়া হবে।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধানে দুদক এর আগে তিন দফা নোটিস দিলেও হাজির হননি হাওলাদার।
সবশেষ গত ২০ মে হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হতে অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ আহমদ তলবি নোটিস দিয়েছিলেন। কিন্তু সেদিন তিনি দুদকে না এসে ওমরা হজে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে চিঠি দেন।
সরকারি সম্পদ আত্মসাতের মাধ্যমে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তের জন্য গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর রুহুল আমিন হাওলাদারকে প্রথম তলব করে দুদক।
কিন্তু সে সময় নির্বাচনের প্রস্তুতির কারণ দেখিয়ে দুদকে হাজির না হয়ে তিনি হাজিরা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন।
এরপর তাকে ফের চিঠি পাঠান দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা। ২৮ মার্চ হাওলাদারকে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয় ওই নোটিসে।
এরপর ওই নোটিসের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাওলাদার রিট আবেদন করলে আদালত প্রাথমিক শুনানি নিয়ে চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে দিয়েছিল। এরপর সে স্থগিতাদেশটি গত ২৮ এপ্রিল স্থগিত করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।