চলতি বছরে সংসদের সংশোধিত বাজেট ২৯৯ কোটি বাজেট ১৬ লাখ টাকা। অবশ্য আসন্ন অর্থ বছরের বাজেট চলতি অর্থ বছরের মুল বাজেটের তুলনায় ৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা কম। চলতি বছরের মুল বাজেট ছিল ৩৩২ কোটি ৫৩ লাখ টাকার।
বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ সচিবালয় কমিশনের বৈঠকে এ বরাদ্দ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকে কমিটির সদস্য প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতার পক্ষে রওশন এরশাদ, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অংশ নেন। সরকারদলীয় প্রধান হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বিশেষ আমন্ত্রণে বৈঠকে যোগ দেন।
সার্বভৌম প্রতিষ্ঠান জাতীয় সংসদে সংশ্লিষ্টদের বেতন-ভাতাসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রতিবছরই কমিশন বৈঠকে বাজেট বরাদ্দ অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে তা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এছাড়া সংসদ সচিবালয়ের নতুন পদ সৃষ্টি, প্রকল্প প্রণয়নসহ বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কমিশন বৈঠক শেষে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বরাদ্দ অনুমোদনের তথ্য জানান।
আপ্যায়ন ভাতা বাড়ল স্থায়ী কমিটির সভাপতিদের
বৈঠকে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দপ্তরের মাসিক আপ্যায়ন ভাতা মাসে ১২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
তবে সংসদীয় কমিটির সভাপতিরা এখাতে মাসিক ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দের দাবি করেছিলো।
এছাড়া সংসদীয় কমিটির বৈঠকে জনপ্রতি আপ্যায়ন ভাতা ১০০ টাকার জায়গায় ২০০ টাকাসহ কয়েকটি খাতের ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে স্পিকার জানান।
২৫ বছর পর পাল্টাচ্ছে স্পিকারের গাড়ি
বর্তমানে স্পিকার ঢাকার বাইরে গেলে ১৯৯৬ সালে কেনা একটি নিশান পেট্রোল এসইউভি ব্যবহার করেন। কমিশন এই গাড়িটির পরিবর্তে একটি নতুন গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এছাড়া সংসদের জন্য নতুন ১০টি পাজেরো গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত হয়।
সংসদ সচিবালয়ের উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের জন্য বিনা সুদে গাড়ি কেনার ঋণ দিতে অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
কমিশন বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, এই খাতে সাড়ে ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকার মত অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
সংসদ সচিবালয়ের উপসচিব পদ মর্যাদার ২২ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। তাদের সকলেই এই সুদমুক্ত ঋণ পাবেন। ঋণ ছাড়াও গাড়ির জ্বালানি ও অন্যান্য খরচ বাবদ মাসে ৫০ হাজার টাকা তারা পাবেন। যার জন্য বছরে এক কোটি ৩২ লাখ টাকা খরচ হবে।
বৈঠকে সংসদ ভবনের নিরাপত্তা বৃদ্ধি, মেরামতসহ সংসদ ভবনের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে সংসদের লেক সংস্কারের সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব।
সংসদ লেকের সংস্কার কার্যক্রমে ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে স্পিকার সাংবাদিকদের জানান।