মাদকের আসামিদের জন্য কারাগারে আলাদা ওয়ার্ড করার প্রস্তাব

সারাদেশে কারাগারগুলোতে মাদক মামলায় অভিযুক্ত ও দণ্ডপ্রাপ্তদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড করার প্রস্তাব দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2019, 12:36 PM
Updated : 22 May 2019, 12:36 PM

বুধবার সংসদ ভবনে কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাব দেওয়া হয় বলে কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু জানান।

বৈঠক শেষে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “মাদক সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত এবং সাজাপ্রাপ্তদের আলাদা ওয়ার্ড করার প্রম্তাব দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় এখন এ বিষয়ে তাদের কার্যক্রম হাতে নেবে।”

কমিটির সদস্য জাতীয় পার্টির এমপি পীর ফজলুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সারা দেশে কারাগারগুলোতে অন্তত ২৪ হাজার কয়েদি আছেন, যারা মাদক আইনের মামলায় অভিযুক্ত অথবা দণ্ডপ্রাপ্ত।

“এদেরকে কাউন্সেলিং করাতে বলা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে সরকারি চিকিৎসকদের এ বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে কাউন্সেলিংয়ের কাজে লাগানোর সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া বৈঠকে মাদকের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান আরও জোরদার করতে বলা হয়েছে।”

এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে ট্রেনে পাথর ছোড়ার ঘটনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে। রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, পাথর ছোড়ার ঘটনা বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে। 

কমিটির সভাপতি শামসুল হক বলেন, “মাদক সেবী, শিশু, চোরাকারবারী- এরাই পাথর ছোড়ে। অনেক সময় ট্রেন কেন থামে না, সেই ক্ষোভ থেকে পাথর ছোড়ে। আমরা রেল কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ডেকেছিলাম। তারা কাজ করছে।”

আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী যে কোনো সম্ভাব্য অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তথ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যথাযথভাবে তদারকি এবং আসন্ন ঈদ সামনে রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সুপারিশ করা হয় বৈঠকে।

সেইসঙ্গে ঈদ সামনে রেখে যাতে কোনোভাবে চাঁদাবাজি না হয় সেদিকে কঠোর নজর রাখতে নির্দেশ দেয় সংসদীয় কমিটি।

বৈঠকে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ এবং পর্নগ্রাফি বন্ধের বিষয়েও আলোচনা হয়।

এ বিষয়ে পীর ফজলুর রহমান বলেন, “সারা দেশে শিশু ও নারীর ওপর যৌন নির্যাতন নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। কমিটি এ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর অবস্থানে থাকতে বলেছে।”

শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এ বৈঠকে কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, হাবিবর রহমান, ফরিদুল হক খান, পীর ফজলুর রহমান এবং নূর মোহাম্মদ উপস্থিত ছিলেন।