দলীয়ভাবেও এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, “এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখতে।”
“এখানে ঘটনাগুলো স্যাবোটাজ কিনা, কোনোভাবে এটা সরকারের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য কেউ বিষয়টা… কৃষক সংকট উদ্ভব হয়…কিন্তু এভাবে আগুন জ্বালিয়ে ধানক্ষেতে, এসব ঘটনাগুলো বিশেষ বিশেষ জায়গায় ঘটছে কেন, এটা তদন্ত করে জানাতে বলেছেন। দলীয়ভাবেও আমরা খোঁজখবর নেব।”
এবছর বোরো মৌসুমে সরকারিভাবে ২৫ এপ্রিল থেকে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত ধান-চাল সংগ্রহ করা হবে। সরকার এবার প্রতিকেজি ধান ২৬ টাকা এবং প্রতি কেজি চাল ৩৬ টাকায় কিনবে।
কিন্তু গত কিছুদিন ধরেই ধানের দাম নিয়ে কৃষক পর্যায়ে চলছে অস্থিরতা। সরকার প্রতি মণ বোরো ধান ১০৪০ টাকায় কিনলেও কৃষক পাচ্ছে তার চেয়ে অনেক কম।
দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়, যেখানে ধান কাটার একজন শ্রমিককে দিতে হয় তার চেয়ে বেশি টাকা। ধানের দাম নিয়ে অসন্তোষ থেকে পাকা ক্ষেতে কৃষকের আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে কোথাও কোথাও।
সমস্যার বাস্তবসম্মত সমাধান করতে হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “একটা সমস্যা হয়েছে…আগুন জ্বালিয়ে, ধান পুড়িয়ে এ সমস্যার সমাধান তো হবে না।
“সরকার এখানে আন্তরিক এবং সরকার কখনও চাইবে না আমাদের কৃষির মেরুদণ্ড যে কৃষকেরা, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হোক। কৃষকদের স্বার্থবিরোধী, কৃষক বান্ধব সরকার কখনও করবে না। শেখ হাসিনা সরকার এ ব্যাপারে আন্তরিক। এ সব বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। এখানে যে সমস্যার উদ্ভব হয়েছে, এর বাস্তব সম্মত সমাধানে উদ্যোগী সরকার।”
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কৃষকদের রক্ষায় অর্থমন্ত্রী চাল আমদানি সীমিত করার কথা কথা বলেছেন। আর খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান কেনাসহ চাল আমদানি পুরোপুরি বন্ধ রাখার সুপারিশ করেছে।