মঙ্গলবার ঢাকার তিন নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
আসামিপক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট গাজী মো. শাহ আলম জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট মোস্তফা কামাল জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর এই ট্রাইব্যুনালেই মামলাটি দায়ের করা হয়। বিচারক মামলা তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দায়িত্ব দেন।
“পরে গত বছর ২০ নভেম্বর পিবিআইয়ের পরিদর্শক শামীম আহমেদ তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আসামি তরুণ কান্তি বিশ্বাসকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।”
গত ২০ জানুয়ারি একই বিচারক তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়া জারি করেন।
মামলায় বলা হয়, ২০১৫ সালের মে মাসে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন পুলিশ সদস্য তরুণ কান্তি। সে সময় তিনি ওই নারীর ভাড়া করা বাসায় ‘সাবলেট’ হিসেবে ওঠেন। পরে তিনি বিভিন্ন সময় তাকে উত্ত্যক্ত করেন।
“স্বামী ঘরে না থাকার সুযোগে ওই গৃহবধূকে দুধের সাথে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান তরুণ কান্তি। এতে অচেতন হয়ে পড়ায় তিনি তার ভিডিও করেন। ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তরুণ কান্তি ওই গৃহবধূকে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন।”
তাকে বিয়ের আশ্বাসও দেওয়া হয় বলে মামলায় অভিযোগ করেছেন ওই নারী।
পরে ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন ওই গৃহবধূ।