মঙ্গলবার গণভবনে পেশাজীবীদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি প্রত্যাশা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। মানুষের আস্থা, বিশ্বাস পেয়েছি। বাংলাদেশের জনগণের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তারা আমাকে তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন বলে আজকে সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অপ্রতিরোধ্য এই যাত্রাটা যেন অব্যাহত থাকে সেই কামনাই করি।
“বাংলাদেশকে আমরা উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত রেখে জাতির পিতা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলাদেশ গড়ার, সেটা যেন আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি।”
জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ যেমন সারা বিশ্বব্যাপী সমস্যা, বাংলাদেশেও সেই প্রচেষ্টা চলেছে। সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য- পুলিশ, র্যাব যারা আছেন, গোয়েন্দা সংস্থাসহ যারা এদেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছেন; তাদের এই অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আজকে আমরা কিন্তু জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমন করতে সফল হয়েছি।
পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্ট জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত সম্মান ক্ষুণ্ন হয়, সেই সম্মান-গৌরব পুনরুদ্ধারে সবার কাছে দোয়া চান শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ যেন ক্ষুধা দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পায়, উন্নত জীবন পায়, মানুষের মধ্যে যেন আত্মবিশ্বাস গড়ে ওঠে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যেন মানুষ নিজেদের গড়ে তুলতে পারে- সেই প্রচেষ্টাই আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।”
প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, কবি, লেখক, শিল্পী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা ইফতারে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও অধ্যাপক, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক ও সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিত্বকারীরা।
ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে বসেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান, জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খান, বিচারপতি মেজবাহউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা মোদাচ্ছের আলী, প্রকৌশলী শামিমুজ্জামান বসুনিয়া, কৃষিবিদ মির্জা আবদুল জলিল, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।
বাংলাদেশে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ, এডিটরস গিল্ড, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, অর্থনীতি পরিষদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, আওয়ামী বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ, আইসিটি ফোরাম, এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা ইফতারে অংশ নেন।