ভূমি অধিগ্রহণে ৪ ধারার নোটিসের পর মামলা করা যাবে না

ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় ৪ ধারার নোটিস জারির পর জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে প্রতিকার চাওয়া ছাড়া কেউ কোনো মামলা করতে পারবে না।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 May 2019, 01:33 PM
Updated : 21 May 2019, 01:33 PM

এমন বিধান রেখে ভূমি মন্ত্রণালয় অধিগ্রহণ সম্পর্কিত ভূমি নিয়ে কোনো প্রকার মামলা মোকদ্দমা দায়ের না করা সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে।

মঙ্গলবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করে আইনের ৪ ধারার নোটিস জারির পর কোনো কোনো জেলায় অধিগ্রহণ প্রস্তাবাধীন ভূমি নিয়ে আইনের বিধান অনুসারে জেলা প্রশাসকের নিকট প্রতিকার না চেয়ে মামলা মোকদ্দমা দায়ের করা হচ্ছে।

“এমনকি একই আইনের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় ৮ ধারা (পূর্বের স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল অধ্যাদেশ, ১৯৮২-এর ৭ ধারা) নোটিস জারির পর মানুষকে হয়রানির উদ্দেশ্যে মাঠ পর্যায়ে কোনো কোনো অসাধু চক্রের যোগসাজশে অন্য একজনকে দাঁড় করিয়ে টাইটেল মোকদ্দমা দায়ের করা হচ্ছে।”

এসব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলার কারণে ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হওয়ার কথা তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “এতে জমির প্রকৃত মালিকরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন।”

সংবিধানের ৪২(২) অনুচ্ছেদে ক্ষতিপূরণসহ বাধ্যতামূলকভাবে স্থাবর সম্পত্তি গ্রহণের ক্ষেত্রে আদালতে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন বা মামলা না করার বিষয়ে বলা হয়েছে।

স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন, ২০১৭ এর ৪৭ ধারায় অধিগ্রহণ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে মামলা মোকদ্দমা না করার বিষয়েও বিধি নিষেধ রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এমতাবস্থায় ভূমি মন্ত্রণালয় সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা এবং জনভোগান্তি লাঘবের লক্ষ্যে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে আইনের ৪ ধারা (পূর্বের আইনের ৩ ধারা) এবং ৮ ধারা (পূর্বের আইনের ৭ ধারা) নোটিস জারির পর আর কোনো অভিযোগ গ্রহণের সুযোগ নেই বিধায় আইনের ৪৭ ধারা যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করে পরিপত্র জারি করে।”