আবহাওয়াবিদরা বলছেন, প্রাক বর্ষায় বৃষ্টি কম হলে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। দেশের উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টিপাত মোটামুটি হচ্ছে। কিন্তু ঢাকাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টিপাত কম; তাই গরম বেশি।
মঙ্গলবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, খুলনা, ঢাকা, রাজশাহী, পাবনা, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার যে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
বুধবার থেকে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়লে তাপমাত্রা কমতে পারে। মে মাসের শেষ দিকে একটি নিন্মচাপ হতে পারে সাগরে, ওই নিন্মচাপ থেকেই বিস্তার লাভ করতে পারে বর্ষা।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, “বর্ষা না আসা পর্যন্ত খরতাপের এমন দাপট অব্যাহত থাকবে। তবে কোথাও কোথাও ঝড়-বৃষ্টি হবে। তাতে তাপপ্রবাহ কমে আসবে। মধ্য জুনে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু নিয়ে বর্ষার আগমন ঘটবে।”
ভ্যাপসা গরমের কারণে শিশুরা ঘামাচি, সর্দিজ্বর, হাম ও ইনফ্লুয়েঞ্জার মত ভাইরাসজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এছাড়া ডায়রিয়াও হচ্ছে। গরমে বাইরের খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সর্তক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
জুন মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- মাসের প্রথমার্ধে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর (বর্ষা) বিস্তার লাভ করবে। এসময় বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে।