ওয়াশিকুর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতের ভর্ৎসনা

আদালতে ঘটনাক্রম ও সময় ঠিকভাবে বলতে না পারায় বিচারকের ভর্ৎসনা শুনলেন অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ওয়াশিকুর রহমান বাবু হত্যামামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা শাহ মো. মশিউর রহমান।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 May 2019, 01:32 PM
Updated : 20 May 2019, 01:32 PM

গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী সুপার মশিউর সোমবার মামলাটির শুনানির দিন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন।

তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার।

এ সময় তদন্তের বিভিন্ন পর্যায়ের তারিখ ও সময় সঠিকভাবে বলতে না পারায় বিচারক উষ্মা প্রকাশ করেন।

বিচারক বলেন, “এ রকম একটি স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ মামলায় এরকম করা অনভিপ্রেত।”

পুলিশের এই কর্মকর্তাকে ভর্ৎসনার পর বিচারক আগামী ২৮ মে পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। ওই দিনও জেরা করা হবে তদন্ত কর্মকর্তা মশিউরকে।

মামলাটিতে অভিযোগপত্রভুক্ত ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হল।

ওয়াশিকুর রহমান বাবু

জঙ্গিদের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার মধ্যে বিভিন্ন স্থানে লেখক-ব্লগার-অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টের উপর হামলার ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ ঢাকার তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়ীতে আক্রান্ত হন ওয়াশিকুর। নিজের বাসা থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের চাপাতির আঘাতে খুন হন তিনি।

সেদিন ঘটনাস্থল থেকেই আরিফুল ও জিকরুল্লাহ নামে দুজনকে ধরে পুলিশে দিয়েছিলেন কয়েকজন হিজড়া।

ওয়াশিকুরের ভগ্নিপতি মাসুদ ঘটনার দিনই তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশ ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর পাঁচজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয়।

আসামিরা হলেন- জিকরুল্লাহ ওরফে হাসান, আরিফুল ইসলাম আরিফ, সাইফুল ইসলাম, মাওলানা জুনায়েদ আহম্মেদ ওরফে তাহের ও সাইফুল ইসলাম ওরফে আকরাম।

ওয়াশিকুর তেজগাঁও কলেজ থেকে লেখাপড়া শেষ করে মতিঝিলের ফারইস্ট এভিয়েশন নামের একটি ট্র্যাভেল এজেন্সিতে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছিলেন। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর গ্রামে।

সামহোয়্যারইন ব্লগে ‘বোকা মানব’ নামে একটি অ্যাকাউন্ট থাকলেও তিনি মূলত লেখালেখি করতেন ফেইসবুকের কয়েকটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে।