সোমবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন।
এরা হলেন- বনানী থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়াহিদুজ্জামান, ভাটারা থানার এসআই ফারুক হোসেন, এএসআই সোহাগ হোসেন ও কনস্টেবল প্রদীপ চন্দ্র দাস।
এদের মধ্য ওয়াহিদুজ্জামান ও ফারুক ঘটনার সময় সন্ত্রাসীদের গ্রেনেড হামলায় আহত হন। পরে ফারুককে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড নেওয়া হয়। চার মাস চিকিৎসা শেষে দেশে আসেন তিনি।
সাক্ষ্য শেষে তাদের জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ।
এনিয়ে এই মামলায় ২১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। যৌথ বাহিনী পরে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। অভিযানে ছয় জঙ্গি নিহত হয়।
২০১৮ সালের ২৩ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির এই মামলায় আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই বছর ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বিচারক।
আসামিরা হলেন- হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ।