গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম শনিবার দুপুরে ডিএমিপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গোয়েন্দাদের কয়েকটি দল গত ২৪ ঘণ্টায় নিউমার্কেটসহ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন চেতনানাশক ওষুধ এবং ওই সব ওষুধ মিশ্রিত খাবার যেমন খেজুর ও ফলের জুস, সাতটি চোরাই মোবাইল এবং একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
অভিযানে নিউমার্কেট এলাকা থেকেই সবচেয়ে বেশি ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া ফকিরাপুল ও কুড়িল বিশ্বরোড বাসস্ট্যান্ড থেকে ১১ জন, গুলিস্তান এলাকা থেকে সাতজন, ওয়ারীর জয়কালি মন্দির এলাকা থেকে চারজন এবং উত্তরা এলাকা থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিউমার্কেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. আ. ছালাম মীর, মো. ফালান, মো. মনির হোসেন, সাকিব হোসেন, ইকবাল হোসেন, মো. আফজাল হোসেন আরিফ, মো. মনির হোসেন, মো. সানী, মো. জুয়েল, মো. মিজানুর রহমান, মো. শামীম, মো. বাদল দেওয়ান, মো. সেলিম, মো. আসিফ উল রিন্টু, মো. শাহ আলম, মো. শাহিন, মো. আব্দুর রহমান, মো. রকিব, মো. টিটু, মো. আশ্রাফ, মো. রাসেল, মো. হোসেন, মো. সেন্টু মন্ডল, মো. রিপন সিকদার, মো. হৃদয় মিয়া, মো. মুন্না, মো. সেন্টু মাঝি, মো. আশ্রাফুল, মো. রেজাউল, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. রবিন আহাম্মেদ রাজ, মো. বাবু, মো. মাসুদ আলাম, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. সুমন, মো. রাজু, মো. ফজলে রাব্বী ও মো. সবুজ।
ফকিরাপুল ও কুড়িল বিশ্বরোড বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. শফিকুল ইসলাম, মো. আলম, মো. ইসমাইল হোসেন চৌধুরী, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. নূরে আলম, মো. শহিদ আলী, মো. রুবেল হাওলাদার, মো. বাবু আকন্দ, মো. আব্দুল মোতালেব, মো. রুবেল মিয়া ও মো. রহমত আলী।
পুরান ঢাকার ওয়ারীর জয়কালি মন্দির থেকে গ্রেপ্তার চারজন হলেন- মো. জাহেদ, মো. রিয়াজ, মো. জসিম উদ্দিন ও মো. রুবেল।
এছাড়াও ওই ব্যক্তির মোবাইল ফোন থেকে তার স্বজনদের ফোন করে মুক্তিপণের টাকা চাওয়া হয় বলেও জানান তিনি।
প্রতারকরা খাদ্যদ্রব্য হিসেবে চা, কফি, জুস, ডাবের পানি, পান ও ক্রিম জাতীয় বিস্কুট ব্যবহার করে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।