মঙ্গলবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এছাড়াও মোট ৩২টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিএসটিআই থেকে লাইসেন্স ও ওজন যন্ত্রের ভেরিফিকেশন গ্রহণ না করা এবং পরিমাপে কারচুপির জন্য এসব মামলা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএসটিআইর লাইসেন্স ব্যতীত দই বিক্রি করায় রাজধানীর তেজতুরী বাজার এলাকায় আলীবাবা সুইটসের বিরুদ্ধে এবং নয়াপল্টনের মুসলিম সুইটস এন্ড বেকারির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়া পণ্যের মোড়কে বাংলায় ওজন, মূল্য, উৎপাদন ও মেয়াদউত্তীর্ণের তারিখ এবং পণ্যের পরিচিতি উল্লেখ না করায় পান্থপথে মেসার্স আল এরাবিয়ান কেক অ্যান্ড সুইটস এবং মিরপুরের দারুস সালাম এলাকার মেসার্স সমবায় বাজার-এর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সিএম লাইসেন্স ব্যতীত পণ্য বিক্রির অপরাধে খুলনার ফুলতলা এলাকার তানিম অয়েল মিল, আলহাজ শেখ এন্টার প্রাইজ এন্ড অয়েল মিল, কৃষ্ণা অয়েল মিল, জননী হলুদ ও অয়েল মিল, শ্যামা মিষ্টান্ন ভান্ডার, বলাই মিষ্টান্ন ভান্ডার এবং নিউ খাজানা হোটেল এন্ড রেস্টরেন্ট-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিএসটিআই’র লাইসেন্স গ্রহণ না করে পণ্য বিক্রির অপরাধে বগুড়ার দুপচাঁচিয়াতে মেসার্স রিপন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, এ এস লাচ্ছা সেমাই এবং ওজনে কারচুপির অপরাধে মেসার্স জাহিদ ট্রেডার্স-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
এছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য রাখার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে রাজশাহীর বিসিক এলাকার মেসার্স প্রাণ এগ্রো লিমিটেডকে ৪০ হাজার ও মেসার্স রাতুল বেকারীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বিএসটিআই থেকে ভেরিফিকেশন সনদ গ্রহণ ব্যতীত ওজনযন্ত্র ব্যবহার করায় সিলেটের বন্দর বাজার এলাকার মনির এন্ড সন্স-এর বিরুদ্ধে ওজন ও পরিমাপ আইন-১৮ অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ ও চকবাজার এলাকায় বিএসটিআই’র অভিযানকালে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ১৪টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বিএসটিআই’র সিএম লাইসেন্স না থাকায় কুমিল্লার বলরামপুর এলাকার মেসার্স আজাদ ফুড এন্ড কেমিক্যাল, মেসার্স বন্দিশাহী মুড়ির মিল এবং ভেরিফিকেশন সনদ গ্রহন ব্যতীত ওজনযন্ত্র ব্যবহার করায় টমছম ব্রীজ এলাকার মেসার্স আসান মিয়ার মাংসের দোকানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।