প্রবাসে এনআইডি: সিঙ্গাপুরে পরীক্ষামূলক প্রকল্পে থাকছে ১০০০ জন

প্রবাসে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা দেওয়ার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে সিঙ্গাপুরে শুধু এক হাজার বাংলাদেশির তথ্য নিবন্ধনের পরীক্ষামূলক প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 May 2019, 10:27 AM
Updated : 12 May 2019, 10:27 AM

এ কাজের জন্য আগামী জুনের মাঝামাঝি বাসাভাড়া নিয়ে দূতাবাসের মাধ্যমে জনবল, যন্ত্রপাতিসহ একটি কারিগরি টিম পাঠাবে নির্বাচন কমিশন।

এর আগে ইসি সচিবের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল গেল মার্চে সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে কমিশনে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে।

কাজের অগ্রগতি প্রসঙ্গে নিরবাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বুধবার বলেন, “সিঙ্গাপুরে একটি পাইলট প্রজেক্ট করার জন্যে আমরা কমিশনে প্রস্তাবনা তুলে ধরেছি।  কমিশন সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে এক হাজার বাংলাদেশি প্রবাসীর ডেটা নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে কাজ শুরুর অনুমোদন দিয়েছে।”

ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে জানিয়ে হেলালুদ্দীন বলেন, “সিঙ্গাপুরে দূতাবাসে প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের তথ্য নিবন্ধন করা হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় জনবল ও যন্ত্রপাতিসহ ঈদের পরপরই একটি টিম পাঠিয়ে দেব। প্রয়োজনীয় লোকবলের জন্য বাসাভাড়া পাওয়াও দুষ্কর। সব বিষয় বিবেচনা করে কাজ এগোবে।”

সেক্ষেত্রে পদ্ধতি চূড়ান্ত করে সার্বিক বিষয়ের সফলতার ওপরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে বলে জানান তিনি।

সব ঠিক থাকলে সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত বাংলাদেশিরাই প্রথম এ সুযোগ পাবেন। সিঙ্গাপুরের পাইলট প্রকল্প সফল হলে এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, বাহরাইন, সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হবে বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা।

এক দশক আগে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও জাতীয় পরিচপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার করার দাবিও আলোচনায় আসে।

এর মধ্যে সরকার ভোটারদের হাতে বায়োমেট্রিক তথ্য সম্বলিত স্মার্ট কার্ড দেওয়া শুরু করলেও নানা জাটিলতায় প্রবাসীদের ভোটার করার প্রক্রিয়া আটকে থাকে।

গতবছর এপ্রিলে কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন ‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান ও ভোটাধিকার প্রয়োগ’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে। প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা এখনই সম্ভব না হলেও তাদের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র যাতে দেওয়া যায়, সেই সুপারিশ আসে সেখানে।

বর্তমানে এক লাখের বেশি বাংলাদেশি সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত আছেন। ইতোমধ্যে তাদের অধিকাংশের হাতে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।