এফআর টাওয়ারের মালিক ফারুকের জামিন

ঢাকার বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের মামলায় ভবনের জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুকও জামিন পেয়েছেন।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 May 2019, 06:08 PM
Updated : 6 May 2019, 06:09 PM

সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম সাইদুজ্জামান শরীফ তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ১১ এপ্রিল এই মামলায় গ্রেপ্তার ভবনের অন্যতম মালিক তাসভীর-উল ইসলাম জামিনে ছাড়া পান।

ভবনে অগ্নিকাণ্ডের পর নির্মাণে নানা অনিয়ম বেরিয়ে আসার পর গত ৩০ মার্চ এই দুজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরে তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৮ এপ্রিল আদালতে হাজির করার পর তাসভীর ও ফারুক দুজনকেই কারাগারে পাঠান বিচারক।

বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে যেখানে ২৩ তলা এফআর টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে, সেই জমির মূল মালিক ছিলেন প্রকৌশলী ফারুক। অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ভবনটি নির্মাণ করে রূপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেড। সে কারণে সংক্ষেপে ভবনের নাম হয় এফআর টাওয়ার।

অঘ্নিকাণ্ডে এই এফআর টাওয়ারের চারটি তলা সম্পূর্ণ পুড়ে যায়

আধাআধি ভাগ হলেও রূপায়ন পরে বিভিন্ন ফ্লোর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে দেয়। এর মধ্যে ২১, ২২ ও ২৩ তলার মালিকানা রয়েছে প্রযুক্তি খাতের কোম্পানি কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের হাতে।

কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সভাপতি তাসভীর এই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। বর্তমানে তিনিই এফআর টাওয়ারের পরিচালনা কমিটির সভাপতি।

গত ২৮ মার্চ ভবনে আগুন লেগে ২৬ জনের মৃত্যুর পর জানা যায়, ১৮ তলার অনুমোদন নিয়ে ভবনটি ২৩ তলা করা হয়েছিল এবং অগ্নি নিরাপত্তার যথাযথ ব্যবস্থাও সেখানে ছিল না।

 তখন বনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিল্টন দত্ত থানায় একটি মামলা করেন, যাতে ফারুক ও তাসভীরের পাশাপাশি রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুলকেও আসামি করা হয়।

মামলায় ‘অসৎ উদ্দেশ্যে পরষ্পর যোগসাজশে মানুষের জানমালের ক্ষতি করা, অবহেলার ফলে মৃত্যু সংঘটন, তাচ্ছিল্যপূর্ণ কার্যকলাপের ফলে অপরাধজনক অগ্নিকাণ্ডে মানুষের প্রাণহানি, মারাত্মক জখমসহ সম্পদের ক্ষতি’ করার অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।

রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান মুকুল পলাতক রয়েছেন।