পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) সোহেল রানা জানান, কঙ্গোর স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কিনশাশায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টরের দায়িত্বে থাকা রৌশন জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশ ফ্রন্ট পুলিশ ইউনিটের মেডাল প্যারেডে যোগ দিতে শনিবার ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে পৌঁছান।
বাংলাদেশ ফ্রন্ট পুলিশ ইউনিটের কমান্ডার (এসপি) ফারজানার গাড়িতে করে রোববার সন্ধ্যায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তিনি।
একটি লরির সঙ্গে ধাক্কা লেগে গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই মারা যান ৫৭ বছর বয়সী রৌশন আরা।
সোহেল রানা জানান, ওই গাড়িতে থাকা ফারজানা এবং গাড়ির চালক নিরাপদে আছেন বলে তারা জানতে পেরেছেন।
অতিরিক্ত আইজিপি রৌশন আরার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাস্টার্স করে ১৯৮৮ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন রৌশন আরা বেগম।
এক মেয়ের মা রৌশনই দেশের পুলিশ বিভাগের প্রথম নারী অফিসার, যিনি পুলিশ সুপারের দায়িত্বে জেলা পুলিশের নেতৃত্ব দিয়েছেন। অতিরিক্ত আইজিপির পদে বাংলাদেশের দ্বিতীয় নারী অফিসার তিনি।
দীর্ঘ কর্মজীবনে পুলিশের হিসাবরক্ষণ বিভাগের সহকারী কমিশনার, রিজার্ভ অফিস, ট্রাফিক বিভাগ এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রশিক্ষণ ইউনিটে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন রৌশন।
কসোভোয় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ক্রাইম অ্যানালাইসিস অফিসার, সুদানে আনমিস-আনপোল শান্তিরক্ষা মিশনের চিফ অব স্টাফ হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
দায়িত্ব পালনে কৃতিত্বের জন্য রৌশন আরা দুইবার আইজিপি ব্যাজ পান এবং বাংলাদেশ সরকারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুলিশ পদক ‘পিপিএম’ অর্জন করেন।