ফণীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রাণ বাঁচানোর প্রস্তুতি

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী উপকূলে পৌঁছানোর আগেই সাড়ে ১১ লাখ মানুষকে ওড়িশা উপকূল থেকে সরিয়ে নিতে বিপুল কর্মযজ্ঞ চলছে ভারতে। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 May 2019, 05:55 PM
Updated : 2 May 2019, 07:25 PM

বাংলাদেশ সরকারও শুক্রবার সকাল থেকে উপকূলীয় ১৯ জেলার ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।   

ভারতীয় আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার বাতাসের শক্তি নিয়ে শুক্রবার সকালেই গোপালপুর আর চাঁদবালির মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানতে পারে ফণী।

প্রায় ৩০০ কিলোমিটার ব্যাসের এই ঘূর্ণিঝড় পুরোপুরি স্থলভাগে উঠে আসার প্রক্রিয়া চলবে কয়েক ঘণ্টা। এরপর মুষলধারে বৃষ্টি ঝরাতে ঝরাতে এবং ঘূর্ণি বাতাসের তাণ্ডব চালাতে চালাতে ফণী অগ্রসর হতে পারে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে।

স্থলভাগে এসে ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকবে এ ঘূর্ণিঝড়। পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশের সময় বাতাসের গতি থাকতে পারে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। 

এই পথ থকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বাতাসের শক্তি নিয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণী শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে বলে ভারতীয় আবহাওয়াবিদদের ধারণা।

তবে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, ঘূর্ণিঝড় ফণী বাংলাদেশের স্থলভাগ পার হওয়ার সময় ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

 

# অবস্থান: বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদ্প্তরের বিশেষ বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় ঘূর্ণিঝড় ফণী চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৯০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৮৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

# শক্তি: ভারতের আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

# সংকেত: ঘূর্ণিঝড় ফণী এগিয়ে আসায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা এবং সংলগ্ন দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং নিকটবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

আর কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে আগের মতই ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বুধবার দুপুরে দেশের সবগুলো বন্দরেই ৪ নম্বর সংকেত জারি করা হয়েছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন,বাংলাদেশে মহাবিপদ সংকেত দেওয়ার সময় এখনও হয়নি। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের মতিগতি পর্যবেক্ষণ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

# আবহাওয়ার পূর্বাভাস: আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে সামনে অমাবস্যা থাকায় ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করার সময় উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চল স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের স্থলভাগ পার হওয়ার সময় চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলায় হতে পারে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল থাকায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরা ট্রলার ও নৌকাকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ভারত

ফণী ছোবল হানার আগেই প্রবল বাতাসের ধাক্কা টের পেতে শুরু করেছে ভারতের অন্ধ্র আর ওড়িশা উপকূলের মানুষ। 

যে বিস্তীর্ণ অঞ্চল ফণীর তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে, সেখানে দশ কোটির বেশি মানুষের বসবাস। ফলে দুর্যোগ মোকাবিলায় বুধবার থেকেই বিপুল প্রস্তুতি শুরু করেছে ভারত সরকার।

বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী ভারতীয় রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার বেশ কিছু জেলায় বুধবারই সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ওড়িশার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে বাসে, ট্রেনে আর নৌকায় করে লাখ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়ে।

রয়টার্স জানিয়েছে, সংসারের জরুরি জিনিসপত্র আর গবাদী পশু ট্রাকে তুলে বহু মানুষকে ঘর বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছুটতে দেখা গেছে। ওই উপকূলীয় এলাকার জেলেদের ১ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত সাগরে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করেছে আবহাওয়া বিভাগ।

প্রস্তুতিতে যেন ফাঁক না থাকে, সেজন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরিস্থিতির সার্বক্ষণিক তদারকির পাশাপাশি ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতার জন্য সব কিছু করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।  

টাইমস অব ইনডিয়া জানিয়েছে, সব মিলিয়ে ১১ লাখ ৫৪ হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে ওড়িশা রাজ্য সরকার। সেজন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৮০টি সাইক্লোন শেল্টার।

 

এ রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে। হিন্দুদের পবিত্র নগরী ও জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত পুরী থেকে পর্যটকদের সরে যেতে বলা হয়েছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে। তবে পুরীর ৮৫৮ বছরের পুরনো জগন্নাথ মন্দির নিয়ে কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন।

ওড়িশা আবহাওয়া দপ্তরের পরিচালক এইচআর বিশ্বাস বলেছেন, এ রাজ্যের ১১টি জেলা ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে রয়েছে।

কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনী, নৌবাহিনী আর কোস্ট গার্ড সদস্যদেরও জরুরি উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। 

ভারতের পূর্ব উপকূলের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর পারাদ্বীপ ও বিশাখাপত্তম বুধবার মধ্যরাত থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ওড়িশার ভূবনেশ্বর বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আর কলকাতা বিমানবন্দর শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।  

নিরাপত্তার স্বর্থে ভারতের ইস্ট কোস্ট রেলওয়ে গত দুই দিনে মোট ১০৭টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করেছে  বলেটাইমস অব ইনডিয়া জানিয়েছে।

ভারতে জাতীয় নির্বাচনের এই মৌসুমে ঘূর্ণিঝড় ফণী হাজির হওয়ায় ওড়িশা রাজ্যের ১১টি উপকূলীয় জেলা থেকে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ফণীর প্রভাবে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। ওড়িশার উপকূলীয় অঞ্চলে কোথাও কোথাও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২০০ মিলিমিটার ছাড়াতে পারে বলে ভারতীয় আবহাওয়া অফিস পূর্বাভাস দিয়েছে।

গত তিন দশকের মধ্যে ফণী হচ্ছে তৃতীয় ঘুর্ণিঝড় যেটা ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে যাচ্ছে। ২০১৭ সালে ঘুর্ণিঝড় অক্ষির তাণ্ডবে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এ এলাকায়। তার আগে ২০১৩ সালেও বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছিল ভারতের এ রাজ্যে।

বাংলাদেশ

ঘূর্ণিঝড় ফণী শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ধরে নিয়ে ওই দিন সকাল ১০টা থেকে উপকূলীয় জেলাগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে,সকালে শুরু করে সন্ধ্যার আগেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনার কার্যক্রম শেষ করা হবে।

ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৯ উপকূলীয় জেলায় ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নির্দেশনার সঙ্গে সঙ্গে তারা মানুষদের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসবে।

উপকূলীয় ১৯ জেলায় তিন হাজার ৮৬৮টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। বেশিরভাগ আশ্রয় কেন্দ্রই প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সাগর তীরের এলাকাগুলোতে মাইকিং করা হয়েছে। মজুদ করা হয়েছে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি।

লন্ডন সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্যোগ মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সব ধরনের প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে তার প্রেস সচিব জানিয়েছেন। 

ঘূর্ণিঝড় ফণী উপকূলে আঘাত হানার আগে সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বৃহস্পতিবার প্রশাসনের উদ্যোগে মাইকিং হয় চট্টগ্রামে সাগরতটের পতেঙ্গায়। ছবি: সুমন বাবু

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব শাহ কামাল প্রথমে নারী, শিশু ও বয়স্কদের আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, “লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার পর সেখানে (ওইসব অঞ্চলে) পাহারা রাখতে হবে, শেল্টারগুলোও পাহারায় রাখতে হবে।”

আশ্রয় কেন্দ্রে প্রতিবন্ধী, শিশু ও গর্ভবতী নারীদের নিরাপত্তায় সজাগ থাকতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।

ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকিতে থাকা এলাকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটি এবং অন্যান্য ছুটি বাতিল করে তাদেরকে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

দেশের ভেতরে সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে অবস্থানরত বড় জাহাজগুলোতে পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

দুর্যোগের আশঙ্কায় এইচএসসিতে শনিবার সব বোর্ডের পরীক্ষা পিছিয়ে ১৪ মে নতুন তারিখ দেওয়া হয়েছে। তবে শুক্রবার অনুষ্ঠেয় বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়েই হবে বলে পিএসসি জানিয়েছে। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ পুরো বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড়ের আওতায় থাকবে, এই সময়টা ক্রিটিক্যাল। উচ্চগতির বাতাস ও দমকা ঝড়ো হাওয়ার সময় সবাইকে নিরাপদে থাকতে হবে।

“ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে সারা রাত বাংলাদেশ অতিক্রম করবে। বাংলাদেশ যখন অতিক্রম করবে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিলোমিটার থাকতে পারে। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রাখতে হবে।”

শামসুদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগে সবাইকে এ বিষয়ে জানাতে হবে, এজন্য বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। কারণ ঘূর্ণিঝড় আঘাতের আগে তথ্য পেলে মানুষ নিজের মতো করে প্রস্তুতি নিতে পারবে।