বৃহস্পতিবার ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ সৈয়দ কামাল হোসেন তাদের সাক্ষ্য নিয়ে আগামী ১৬ জুন মামলার পরবর্তী শুনানির দিন রেখেছেন।
আদালতের পেশকার রফিকুল ইসলাম জানান, এদিন সাক্ষ্য দেন সাভার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. ছামসুদ্দিন।
এ নিয়ে মামলাটিতে তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হল।
মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, সোহেল রানা ও তার বাবা আবদুল খালেক, মা মর্জিনা বেগম রানা প্লাজা নামের একটি বিপণি কেন্দ্র নির্মাণের জন্য তন্ময় হাউজিং লিমিটেড নামের একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেন।
চুক্তি অনুযায়ী, ওই প্রতিষ্ঠানটি ভবনের দোতলা পর্যন্ত নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর সোহেল রানা ওই প্রতিষ্ঠানকে বিদায় করে দেন। পরে নিজেরাই ছয়তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করেন। বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে সেখানে পোশাকের কারখানা স্থাপন কর হয়। এরপর ছয়তলা ভিত্তির এ ভবনকে ১০ তলা করতে সাভার পৌরসভার অনুমোদন নিয়ে নয় তলা পর্যন্ত তোলেন।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে সহস্রাধিক শ্রমিকের মৃত্যুর পর ভবন নির্মাণে এই দুর্নীতির বিষয়টি বেরিয়ে আসে। তখন দুদকের উপ-পরিচালক এস এম মফিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সাভার থানায় মামলা করেন।
তদন্ত শেষে দুদকের ওই কর্মকর্তা ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৭ সালের ২১ মে সোহেল রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।
রানা ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- তার বাবা আব্দুল খালেক, মা মর্জিনা বেগম, সাভার পৌরসভার তৎকালীন মেয়র মো. রেফাতউল্লাহ, সাভার পৌরসভার প্রাক্তন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল হাসান রাসেল, প্রাক্তন সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, প্রাক্তন উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম, সাভার পৌরসভার প্রাক্তন টাউন প্ল্যানার ফারজানা ইসলাম ও লাইসেন্স পরিদর্শক মোতালিব।