বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর গুলশানে জঙ্গি ও মাদকবিরোধী গণসংযোগ শোভাযাত্রার উদ্বোধন করে তিনি নগরবাসীর উদ্দেশে বলেন, “সবাই সবাইকে দেখুন। আপনাদের চোখ কান খোলা রাখুন। কে কখন কোথায় যাচ্ছে, কে কী করছে…..। অবশ্যই মেসেজ আসবে, মাদক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে।”
ঢাকা মহানগর পুলিশ আয়োজিত এই শোভাযাত্রায় যোগ দিয়ে মেয়র আতিকুল জানান, জঙ্গি ও মাদকবিরোধী গণসংযোগ নিয়ে তারা উত্তর বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও মার্কেটে যাবেন।
“এই গণসংযোগ, র্যালি সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করার জন্য।”
নগরবাসীর মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে এই অভিযানের গুরুত্ব তুলে ধরে আতিকুল বলেন, “আমাদের আত্মীয় স্বজনরা কই যায়, ছেলেমেয়ে ও বন্ধুবান্ধবরা কই যায়, আমাদের আশেপাশের বাড়িতে কারা থাকে, সবাইকে জানতে হবে। চিনতে হবে, বুঝতে হবে। এটা সবার জন্য মেসেজ। আজকে র্যালি করলাম অ্যাওয়ারনেস বিল্ডআপ করার জন্য…।
“প্রত্যেক এলাকায়, পাড়ায় পাড়ায় যদি অ্যাওয়ারনেস বিল্ডআপ হয়, তাহলে জানতে পারব কাদের মধ্যে কী অবস্থা। অ্যাওয়ারনেসটা খুব ইমপর্টেন্ট। আজকে যেটা শুরু হল, চলমান থাকবে।”
গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন সোসাইটির সমন্বিত সংগঠন ‘ল অ্যান্ড অর্ডার কো-অর্ডিনেশন কমিটির (এলওসিসি)’ তত্ত্বাবধানে ওই এলাকাগুলোতে মহানগর পুলিশ ‘নিরবচ্ছিন্ন মনিটরিং’ করছে বলে সাংবাদিকদের জানান মেয়র।
তিনি বলেন, “এটা অনেকটা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মত। এখানে সোসাইটি, ডিএমপি, ডিএনসিসি ও এলাকাবাসী মিলে কালেকটিভ ওয়েতে সব মেইনটেন করা হচ্ছে।”
তিনি জানান, ঢাকা উত্তরের প্রতিটি বাসভবনের হোল্ডিং ট্যাক্সে কিউআর কোড লাগিয়ে দেবে ডিএনসিসি। নগর অ্যাপ চালু হলে বাড়িগুলো অটোমেশনের আওতায় চলে আসবে।
গুলশান থানা থেকে শুরু হয়ে পরে গুলশান ইয়ুথ ক্লাব মাঠে এসে শেষ হয় এই শোভাযাত্রা।