সড়ক আইনের গেজেট প্রকাশে নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে রুল

বেপরোয়া মোটরযান চালনার কারণে দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজার বিধান রেখে করা বহুল আলোচিত ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ কার্যকর করতে গেজেট প্রকাশে নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2019, 09:09 AM
Updated : 28 April 2019, 09:09 AM

আইনটি কার্যকর করতে গেজেট প্রকাশে বিবাদিদের ব্যর্থতা, নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং আইন কার্যকর করতে গেজেট প্রকাশে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাই কোর্ট বেঞ্চে রোববার এ রুল জারি করে।

মন্ত্রীপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি সচিব, প্রধানমন্ত্রী সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগের সচিব, সংসদ বিষয়ক সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পূরবী রাণী সাহা ও পূরবী রানী শর্মা।

মনজিল মোরসেদ পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দেশে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আইন পাসের জন্য শিক্ষার্থীসহ দেশের মানুষের যে আন্দোলন হয়েছিল, সে সময় সরকার ঘোষণা দিয়েছিল আইনটাকে যুগপোযোগী করে পাস করা হবে। সে অনুযায়ী গত বছরের ৮ অক্টোবর আইনটা সংসদে পাস হওয়ার পর গেজেট হয়েছে। ওই আইনের মধ্যেই বলা ছিল সরকার গেজেট প্রকাশ করে আইনটাকে কার্যকর করবে।

“কিন্তু ছয় মাস হয়ে যাওয়ার পরেও সরকার গেজেট প্রকাশ করেনি। আমরা উকিল নোটিস দিয়েছিলাম গেজেট প্রকাশ করে আইনটা কার্যকর করার জন্য। সেটা না হওয়ার প্রেক্ষিতে জনস্বার্থে রিট আবেদন করেছিলাম, আজ প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত দুই সপ্তাহের রুল জারি করেছেন।”

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আইনজীবী সরওয়ার আহাদ চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভুঁইয়া ও আইনজীবী রিপন বাড়ৈ গত বুধবার রিট আবেদনটি করেন।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল আইনটি কার্যকর  করতে সাতদিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করতে এইচআরপিবির পক্ষে সরকারের আট সচিবকে উকিল নোটিস দেওয়া হয়েছিল। 

মনজিল মোরসেদ বলেন, “আইনটাকে জনগণ সমর্থন জানিয়েছে। আবার একটি পক্ষের আইনটি নিয়ে বিরোধিতাও আছে। তারা মনে করছে আইনটা প্রয়োগ হলে তারা সমস্যায় পড়বে। ওই যারা নাকি গাড়ির মালিক, চালক এরা।

“আমাদের ধারণা, এই আইন পাস হওয়ার ক্ষেত্রে বা আইনটি কার্যকর  করতে গেজেট প্রকাশ না করার ক্ষেত্রে তাদের পরোক্ষ শক্তি কাজ করে থাকতে পারে। কারণ এর আগেও আমরা দেখেছি, আইনটা কিন্তু হয়েছিল আরও দেড় বছর আগে। আইন মন্ত্রণালয়ের টেবিলে ছিল। এই কারণে আমাদের মনে হয়েছে আইনটা কার্যকর না করার পেছনে অশুভ শক্তি কাজ করতে পারে।”