কক্সবাজার মেডিকেলের ৩৭ কোটি টাকা আত্মসাতে মামলা হচ্ছে

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি কেনার নামে পরস্পর যোগসাজশে সাড়ে ৩৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক অধ্যক্ষসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2019, 03:55 PM
Updated : 25 April 2019, 03:55 PM

বৃহস্পতিবার কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে এ মামলা দায়েরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

মামলায় যারা আসামি হচ্ছেন তারা হলেন- কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. রেজাউল করিম, অধ্যাপক ডা. সুবাস চন্দ্র সাহা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন বিভাগের সাবেক লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল রশিদ (বর্তমানে জাতীয় অর্থোপেডিকস অ্যান্ড পুনর্বাসনের অধ্যাপক), স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেল এডুকেশন শাখার সাবেক হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা মো. আবজাল হোসেন, তার স্ত্রী রহমান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের সত্বাধিকারী রুবিনা খানম, কক্সবাজার জেলার হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা সুকোমল বড়ূয়া, জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা কার্যালয়ের সাবেক এসএএস সুপার সুরজিত রায় দাস, কক্সবাজার জেলার হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা পংকজ কুমার বৈদ্য, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের হিসাবরক্ষক হুররমা অকতার খুকী এবং চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়নের সাবেক উচ্চমান সহকারী মো. খায়রুল আলম।

প্রনব জানান, দুদকের উপ-সহাকরী পরিচালক শহিদুর রহমান বাদী হয়ে শিগগিরই কক্সবাজার সদর থানায় মামলাটি দায়ের করবেন।

দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলমের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিম ওই বিষয়ে অনুসন্ধান করে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দিলে মামলা করার অনুমোদন দেয় সংস্থাটি।

অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. রেজাউল করিম বিভিন্ন বিভাগের নামে অপ্রয়োজনীয় ভুয়া ও ব্যবহারের অনুপযোগী সাড়ে ৩৭ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম কেনেন। এসব যন্ত্রপাতি এখনও হাসপাতালে পড়ে আছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দরপত্রের মাধ্যমে আবজালের প্রভাবে তার স্ত্রীর প্রতিষ্ঠান রহমান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এসব যন্ত্রপাতি কেনার কাজ পায়। পরে প্রতিষ্ঠানটি ভুয়া ও ব্যবহার অনুপযোগী যন্ত্রপাতি বিদেশি বিভিন্ন সিল ব্যবহার করে সরবরাহ করে এবং ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে এসব টাকা আত্মসাত করেন। এসব কাজে অন্যান্যরা সহযোগিতা করেছেন।