দ্রুত শেষ করা হবে নুসরাত হত্যার বিচার: আইনমন্ত্রী

আদালতে অভিযোগ দাখিল হলেই ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির হত্যা মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2019, 10:12 AM
Updated : 25 April 2019, 10:12 AM

মামলাটি দ্রুত শেষ করতে প্রসিকিউশন আগাম কিছু প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসের’ কর্মসূচি জানাতে এসে এক সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বাংলাদেশের প্রায় সকলেই নুসরাত হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ এবং এই বিচারটা শেষ করার ব্যাপারে তাদের একটা আগ্রহ আছে।

“আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে এই বিচারটা যত তাড়াতাড়ি শেষ করা যায়। আমি বলতে পারি আমরা প্রসিকিউশন থেকে যেসব প্রিপারেশন দরকার অন দ্য গ্রাউন্ড, মামলা পরিচালনা করতে ডিউ প্রোসেজে এটাকে সমাপ্ত করতে যেসব প্রিপারেশন দরকার আমরা সেগুলো নিয়ে রেখেছি।”

আনিসুল হক বলেন, “যে মুহূর্তে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে, রাজন হত্যা মামলা যেমন তড়িৎ আমরা শেষ করতে পেরেছি রেকর্ড টাইমে, এ রকম তাড়াতাড়ি কোনো মামলা শেষ হয়নি আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে, ঠিক সে রকমভাবে আমরা সেটাকে শেষ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

ফেনীর সোনাগাজীর মেয়ে নুসরাত এ বছর আলিম পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিলেন। সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী ছিলেন তিনি।

গত ৬ এপ্রিল সকালে নুসরাত আলিমের আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষা দিতে গেলে মাদ্রাসায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ১০ এপ্রিল রাতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

আলোচিত এ মামলায় এজহারভুক্ত আট আসামিসহ এ পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও পিবিআই। এদের মধ্যে শাহাদাত হোসেন শামীম, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের আহমেদ, উম্মে সুলতানা পপি ও কামরুন নাহার মনিসহ আট জন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এছাড়া গ্রেপ্তার হয়েছেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ-উদ-দৌলা, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রুহুল আমিন, পৌর কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম ও মাদ্রাসার শিক্ষক আবছার উদ্দিন।

নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী।

“আমরা চাইনা এই মামলাগুলো বিলম্বিত হোক। কেন বিলম্বিত হচ্ছে সে বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছি। স্বাক্ষী না আসার কারণে বিলম্ব হয়, সেগুলো দূর করার চেষ্টা করছি।”