মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমিতে এক বই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের তিন যুগপূর্তি উপলক্ষে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসাবে কানাই চক্রবর্ত্তীর ‘আনন্দের মুক্তি চাই ও অন্যান্য নাটক’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব আয়োজন করা হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে নাটকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আশির দশকে পুরো সময়জুড়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে মঞ্চ এবং পথ নাটকে বিরাট ভুমিকা রয়েছে।
“নিউ মিডিয়ার যুগে আকাশ সংস্কৃতির হিংস্র থাবা আমাদের সংস্কৃতিকে হুমকির মুখে ফেলেছে, একই সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের আসক্তি যখন বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে তখন আমি মনে করি এই নাটককে আরও বেশি করে গুরুত্ব দিতে হবে।”
নাটকের মা্ধ্যমে সমাজের অসঙ্গতি দূর করতে নাট্য সংগঠনগুলোকে আরও জোরালো ভুমিকা রাখার আহ্বান জানান হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, “নিউ জিল্যান্ডের মতো দেশে হামলা ঘটনা ঘটতে পারে, আমরা কখনও ভাবতে পারিনি। শ্রীলংকায় গৃহযুদ্ধ শেষ সংঘাতও শেষ, কিন্তু সে দিন যে ঘটনা ঘটেছে, তা সমগ্র পৃথিবীকে অবাক করে দিয়েছে।
“এই জঙ্গিবাদ যে (বাংলাদেশে) মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল, তা পুরোপুরি নির্মূল করতে না পারা গেলেও কাছাকাছি আসা গেছে। এই ক্ষেত্রে ব্যাপক সংস্কৃতিক চর্চা হলে, নাটকের চর্চা হলে তরুণ সমাজের জঙ্গিবাদে না ঢোকার ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রাখবে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য সচিব আব্দুল মালেক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।
মাহাকাল নাট্য সমাপ্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আফজাল হোসেনের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক ছিলেন লেখক অভিনেতা আতাউর রহমান, আলোচক ছিলেন কবি আসাদ মান্নান, নাট্যকার ড. রতন সিদ্দিকী।