বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) রোববার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করে ডা. আমিরুলকে দ্রুত অপসারণ ও তার শাস্তির দাবি জানায়।
দাবি আদায়ে আগামী মঙ্গলবার নার্সিং অধিদপ্তর ঘেরাও এবং আগামী ৭২ ঘণ্টা সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনএ।
মানববন্ধনে বলা হয়, মহাখালীর বক্ষব্যাধী হাসপাতালের একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স সম্প্রতি সংযুক্তি হিসেবে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে যোগ দেন।
গত বুধবার বিএনএ সভাপতির সঙ্গে দেখা করে হাসপাতালের পরিচালক ডা. আমিরুলের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে কিছু অডিও-ভিডিও তিনি জমা দিয়েছেন।
বিএনএ সভাপতি ইসমাত আরা পারভীন বলেন, “বুধবার সন্ধ্যায় উনি এবং উনার স্বামী আমার বাসায় আসেন। দীর্ঘ সময় উনার সমস্যা নিয়ে কথা হয়।
ওই পরিচালককে প্রথমে অপসারণ করে নার্স ও চিকিৎসক প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান তিনি।
এর আগেও ডা. আমিরুল হাসানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে দাবি করে তিনি বলেন, “আমি অত্যন্ত কাছ থেকে দেখেছিলাম, আমি উনার স্টুডেন্ট ছিলাম। আমি যখন স্টুডেন্ট ছিলাম, তখনও বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন মানুষকে বিভিন্ন নিয়ম দেখিয়ে, অনেক ইয়ং মেয়ের লাইফ উনি নষ্ট করেছেন। আমরা স্টুডেন্ট হিসেবে সে সবের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলাম।”
স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদ ও বাংলাদেশ ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়নের সদস্যরাও মানববন্ধনে অংশ নেন।
কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বিএনএ’র সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বাদশা, স্বানাপ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সোনালী রানী দাস, মহাসচিব ইকবাল হোসেন সবুজ, যুগ্ম সম্পাদক মাজহারুল জুয়েল, বিএনএ’র ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার সভাপতি কামাল পাটোয়ারী ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান জুয়েল বক্তব্য রাখেন।