তামাকপণ্যে উচ্চ কর আরোপের প্রস্তাব

আগামী বাজেটে তামাকপণ্যের উচ্চহারে কর আরোপের পাশাপাশি বর্তমান কর কাঠামো পরিবর্তন করা হলে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে বলে শনিবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় বক্তারা মন্তব্য করেছেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2019, 02:35 PM
Updated : 20 April 2019, 02:35 PM

শ্যামলীতে শনিবার ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের হেলথ সেক্টরের প্রশিক্ষণ কক্ষে  অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন আহ্ছানিয়া মিশনের সহকারী পরিচালক ও তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. মোখলেছুর রহমান।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের হেলথ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে এই সভায় বক্তারা বলেন, তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে বর্তমান কর কঠামো পরিবর্তনের বিকল্প নেই।

তারা বলেন, এজন্য সকল তামাকপণ্যের খুচরা মূল্যের ভিত্তিতে করারোপ করা ছাড়াও সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করতে হবে। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি এবং আয় বৃদ্ধি সাথে সঙ্গতি রেখে এই সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক নিয়মিতভাবে বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

বক্তারা বলেন, করারোপ প্রক্রিয়া সহজ করতে তামাকপণ্যে বিদ্যমান বিভাজন (ফিল্টার/নন ফিল্টার বিড়ি, সিগারেটের মূল্যস্তর, জর্দা ও গুলের আলাদা ট্যারিফ ভ্যালু প্রভৃতি) তুলে দিয়ে সব ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য উৎপাদানকারীকেও করজালের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

বক্তারা পাঁচ বছর মেয়াদী একটি সহজ এবং কার্যকর তামাক কর নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা, ই-সিগারেট এবং হিটেড (আইকিউওএস) তামাকপণ্যের উৎপাদন, আমদানি এবং বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা  এবং কঠোর লাইসেন্সিং ও কর ফাঁকির জন্য দৃষ্টান্তমূলক জরিমানার ব্যবস্থা করার প্রস্তাব করেন।

অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- সিগারেটের মূল্যস্তর চারটি থেকে কমিয়ে দুইটি (নিম্ন এবং উচ্চ) স্তরে নিয়ে আসা, নিম্নস্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা এবং উচ্চস্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ন্যূনতম ১০৫ টাকা নির্ধারণ করে ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শল্ক আরোপ।

ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের (জর্দা ও গুল) ট্যারিফ ভ্যালু প্রথা বিলুপ্ত করে প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৩৫ টাকা এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ২০ টাকা নির্ধারণ করে শতকরা ৪৫ ভাগ সম্পূরক শুল্ক আরোপের মাধ্যমে তামাকপণ্যের খুচরা মূল্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য করার প্রস্তাবও করা হয়েছে সভায়।

সভায় বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, সাভার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শরাফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, যমুনা নিউজের বিশেষ প্রতিনিধি সুশান্ত সিনহা, ভাইটাল স্ট্রাটিজির কান্ট্রি ম্যানেজার মো. নাসির উদ্দিন, ভয়েস এর হেড অব প্রোগ্রাম আজমল হোসেনসহ তামাকবিরোধী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।