শিশুরা আঁকুক নিজের মত করে:  শিল্পী হাশেম খান

অটিজম নিয়ে জন্মগ্রহণ করা শিশুদের স্বাভাবিক মিথস্ক্রিয়া ও এ বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আর্ট ক্যাম্পের আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ও চাইল্ড ফাউন্ডেশন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 April 2019, 10:22 AM
Updated : 19 April 2019, 10:22 AM

শিল্পী হাশেম খান ও রফিকুন নবী শুক্রবার সকালে দুই দিনের এই আর্ট ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন। বিভিন্ন স্কুল ও সংগঠনের ৮৩ জন শিশু-কিশোর এই ক্যাম্পে অংশ নিচ্ছে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিল্পী হাশেম খান বলেন, “আমি ‘অটিজম’ শব্দটি ব্যবহার করার পক্ষপাতি নই। আমি মনে করি, একটি শিশু যেভাবে আছে, সেটাই স্বাভাবিকতা। প্রত্যেকটা মানুষ এক রকম চেহারার হয় না। কেউ অভিনেতা বা অভিনেত্রী হয়ে জন্মায় না। মা-বাবাদের এ বিষয়গুলো বুঝতে হবে।”

অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শিশুর কোথায় দুর্বলতা তা দেখতে হবে। সেই দুর্বলতা দূর করার জন্য আনন্দের মাধ্যমে শিখিয়ে তাকে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে হবে। কেবল স্পেশাল চাইল্ড নয়, স্বাভাবিক শিশুদের ক্ষেত্রেও একই আচরণ করতে হবে।

“একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত শিশুদের ছবি আঁকার ক্ষেত্রে কোনো কিছু বলে দেবেন না, কোনো শিক্ষক রাখবেন না। শিক্ষকরা আরও ক্ষতি করবে। চারুকলার ছাত্র বা শিক্ষক যেই স্কুল করুক না কেন, তাতে যদি শিশুদের ঠিকমত মনস্তাত্ত্বিক পরিচর্যা না করতে পারে, তাহলে শেখানোর প্রয়োজন নেই।

“বেশিরভাগ জায়গায় আমি দেখেছি কোনো পুরস্কার পাওয়া ছবি শিশুদের সামনে টানিয়ে দিয়ে ওই রকম করে আঁকতে বলা হয়। এটা অন্যায়। নাচ, গান আর ছবি আঁকা এক জিনিস নয়।”

চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন বলেন, অটিজম নিয়ে জন্মগ্রহণ করা শিশুরা অধিকাংশ সময় স্বাভাবিক জীবন যাপন করার সুযোগ পায় না। তাদের সুপ্ত প্রতিভাকে বিকাশিত করার সুযোগ পায় না।

“তারা তাদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশের সুযোগ পেলে সমাজের বোঝা হযে থাকবে না, দেশের সকল উন্নয়নমূলক কাজে অংশ নিতে পারবে। আর সেজন্য এ শিশুদের অভিভাবককে সচেতন হতে হবে।”

আয়োজকরা জানান, শিল্পী হাশেম খান, রফিকুন নবীসহ ৪৯ জন শিল্পী এই আর্ট ক্যাম্পে শিশুদের সঙ্গে অংশ নিচ্ছেন। শিশুরা যেসব ছবি এই ক্যাম্পে আঁকবে তা শনিবার প্রদর্শন করা হবে এবং তাদের পুরস্কৃত করা হবে।