রেলের ৫০ ভাগ টিকেট বিক্রি হবে অ্যাপে

ট্রেনের অগ্রিম টিকেট কেনায় ভোগান্তি কমাতে আগামী ২৮ এপ্রিল একটি মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনের মোট টিকেটের ৫০ ভাগ বিক্রি করা হবে বলে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2019, 03:19 PM
Updated : 18 April 2019, 04:53 PM

এছাড়া ঈদের অগ্রিম টিকেট কমলাপুরসহ ছয়টি স্থান থেকে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান রেলমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এতদিন শুধু কমলাপুর স্টেশন থেকেই ঈদের আগাম টিকেট বিক্রি করা হত। কিন্তু এবার তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে টিকেট বিক্রি হবে।

“রেলের টিকেটিং ব্যবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল। টিকেট নিয়ে কালোবাজারি, স্টেশনে এসে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকেট সংগ্রহ করতে হয় এমন অভিযোগ ছিল। এবার আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবের। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে যাত্রীরা যেন ঘরে বসে টিকেট কিনতে পারেন সেই ব্যবস্থার দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।”

এজন্য আগামী ২৮ এপ্রিল কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে রেলের টিকেট কেনার নতুন অ্যাপ উদ্বোধন করা হবে বলে জানান তিনি।

মোবাইল অ্যাপে টিকেট কেনার সুযোগ দেওয়া হলে রেল স্টেশনে আর এ রকম ভিড় হবে না বলে আশা করছেন রেলমন্ত্রী

নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, যাত্রীরা ঈদের আগাম টিকেটের ৫০ ভাগ অনলাইনের মাধ্যমে কিনতে পারবেন। আর বাকি ৫০ ভাগ কাউন্টার থেকে বিক্রি হবে।

কমলাপুর, বিমানবন্দর ও গাজীপুর রেল স্টেশন থেকে ঈদের আগাম টিকেট বিক্রি হয়।

“এর বাইরে ফুলবাড়িয়া থেকে টিকেট দিব। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, যদি ওনারা রাজি হন তাহলে টিএসসি থেকেও ঈদের আগাম টিকেট বিক্রি করব। আর মিরপুরে পুলিশের কনভেনশন সেন্টার আছে সেখান থেকে টিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা করব। এতে সহজেই ভিড়-বাট্টা কিংবা সারা রাত অপেক্ষা করে টিকেট সংগ্রহ করতে হয়, সেটা লাগবে না।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৫ এপ্রিল ঢাকা-রাজশাহী রুটে বিরতিহীন বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল রাজশাহী থেকে উদ্বোধন করবেন বলে জানান রেলমন্ত্রী।

এরপর ২৭ এপ্রিল থেকে নিয়মিত ঢাকা-রাজশাহী রুটে বিরতিহীনভাবে চলবে ট্রেনটি।

মন্ত্রী বলেন, এছাড়া ঈদের আগেই ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে কম বিরতি দিয়ে একটি নতুন ট্রেন চালু করা হবে। আর ঈদের পর ঢাকা-বেনাপোল রুটে আরেকটি বিরতিহীন ট্রেন চালু করা হবে।

কীভাবে যাত্রী সেবা বাড়ানো যায় তা চিন্তা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “রেলের যে সব স্টেশন বন্ধ আছে সেগুলো কীভাবে চালু করা যায় সেদিকেও আমরা নজর দিচ্ছি। রেলকে যুগোপযোগী এবং মানুষের চাহিদার সঙ্গে মিল রেখে রেল ব্যবস্থা যেন গড়ে তুলতে পারি সেজন্য আমরা অনেকগুলো প্রকল্প নিয়েছি।”