প্রধানমন্ত্রীর ব্রুনেই সফরে ৬ চুক্তির আশা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্রুনেই সফরে দেশটির সঙ্গে ছয়টি সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2019, 11:19 AM
Updated : 18 April 2019, 11:23 AM

পাশাপাশি দুই দেশের কূটনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের ভিসা ছাড়াই ভ্রমণের সুযোগ দিতে কূটনৈতিক নোট বিনিময় হতে পারে।

ব্রুনেইয়ের সুলতান হাজী হাসানাল বলকিয়ার আমন্ত্রণে তিন দিনের সফরে রোববার ঢাকা ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

ব্রুনেই ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য মাত্র ১০ লাখ ডলারের মতো। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের সক্ষমতা আছে দেশটির।

এছাড়া মিয়ানমারের ওপর প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতাসম্পন্ন এশিয়ানের সদস্য হওয়ায় ব্রুনেইয়ের সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা করবেন তারা।

কৃষি, শিল্প ও সংস্কৃতি, যুব ও ক্রীড়া, মৎস্য সম্পদ, প্রাণিসম্পদ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারকগুলো সই হওয়ার কথা রয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, উভয়পক্ষের সম্মতিতে এই ছয়টি সমঝোতা স্মারক ইতোমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে। আরও একটি বিবেচনায় রয়েছে।

“ব্রুনেইয়ের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পাওয়ার বিষয়েও আশাবাদী আমরা।”

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (বাইল্যাটারাল) মো. কামরুল আহসান বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারীদের একটি ব্রুনেই।

“তারা আমাদের কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ করতে পারে। তাদের চাহিদা মতো খাবার প্রস্তুত করে এখান থেকে রপ্তানি করতে পারে।”

“এখানে অনেক সুযোগ,” সফরের গুরুত্ব বোঝাতে বলেন তিনি।

সফরে ইস্তানা নুরুল ইমানের বাইতুল মেসউয়ারায় সুলতানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্থানীয় সময় রোববার বিকেল পৌনে ৩টায় প্রধানমন্ত্রীর ব্রুনেইয়ের রাজধানী বন্দর সেরি বেগওয়ানের ব্রুনেই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

যুবরাজ হাজী আল মুহতাদি বিল্লাহ বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন। সেখান থেকে মটর শোভাযাত্রা সহকারে প্রধানমন্ত্রীকে নেওয়া হবে এম্বায়ার হোটেল অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবে। সফরে এই হোটেলেই অবস্থান করবেন প্রধানমন্ত্রী।

সফরের প্রথম দিন ওই হোটেলের বলরুমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। পরে বাংলাদেশ হাই কমিশনারের দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেবেন তিনি।

পরদিন সোমবার প্রধানমন্ত্রী ব্রুনাইয়ের সুলতান বলকিয়ার সরকারি বাসভবন ইস্তানা নুরুল ইমানের চেরাদি লায়লা কেনচানায় সুলতান ও রাজ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হবেন। এরপর সুলতানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন তিনি। বৈঠক শেষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।

বিকেলে এম্পায়ার হোটেলে ব্রুনেই ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

পরে জামে আসর মসজিদ পরিদর্শন এবং সেখানে আসর নামাজ আদায় করবেন শেখ হাসিনা।  পরে সুলতানের সরকারি বাসভবনে তার দেওয়া ভোজসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

মঙ্গলবার সকালে ব্রুনেইয়ের রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকা জালান কেবাংসানে বাংলাদেশ হাই কমিশনের নতুন চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন শেখ হাসিনা।  পরে তিনি রয়েল রেজালিয়া জাদুঘর পরিদর্শন করবেন।

শেখ হাসিনা স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় ঢাকার উদ্দেশে ব্রুনাই ছাড়বেন। সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন তিনি।