বিড়ি-সিগারেটের মূল্যস্তর কমানোর দাবি

আগামী বাজেটে সিগারেটের বিদ্যমান মূল্যস্তর চারটি থেকে কমিয়ে দুইটি নির্ধারণ করাসহ নতুন মূল্য নির্ধারণের দাবি জানানো হয় ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 April 2019, 09:19 AM
Updated : 16 April 2019, 09:19 AM

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘তামাকজাত দ্রব্যের উপর সুনির্দিষ্ট করারোপ ও সিগারেটের মূল্যস্তর কমানোর দাবিতে’ এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে ব্যুরো অব ইকোনোমিক রিসার্চ, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি এবং বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যুরো অব ইকোনোমিক রিসার্চের ফোকাল পার্সন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক রুমানা হক বলেন, “সিগারেটের বর্তমান মূল্যস্তরের কাঠামো চারটি, করারোপের ক্ষেত্রে এই চারস্তরকে সহজ করে দুই কাঠামো করতে হবে। সিগারেটের নিম্ন ও মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে ‘নিম্নস্তর’ এবং উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরকে এক করে ‘উচ্চস্তর’ করতে হবে।

“সিগারেটের মূল্যস্তর বেশি থাকাটা জটিল, এর মাধ্যমে সিগারেট কোম্পানিগুলো ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে থাকে। পৃথিবীর কোনো দেশেই এত বেশি মূল্যস্তর নেই। আমরা এখনই এক স্তর দাবি করছি না। সিগারেটের মূল্য এক স্তর করা গেলে সিগারেটে করারোপ আরো সহজ হত, এতে করে সিগারেট ব্যবহারও কমে আসত।”

২০১৯-২০ অর্থবছরে নিম্নস্তর প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করে খুচরা মূল্য ৫০ টাকা এবং উচ্চস্তর সিগারেটে ৬৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ন্যূনতম মূল্য ১০৫ টাকা নির্ধারণের দাবি জানান রুমানা হক।

এছাড়া আগামী বাজেটে বিড়ির পাঁচ স্তরের মূল্য বিভাজনও তুলে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

রুমানা হক বলেন, ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়িতে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করে খুচরা মূল্য ৩৫ টাকা এবং ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকা বিড়িতেও সমানহারে শুল্ক আরোপ করে খুচরা মূল্য ২৮ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।

অন্যদিকে ট্যারিফ ভ্যালু প্রথা বিলুপ্ত করে সিগারেট ও বিড়ির মত প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার মূল্য ৩৫ টাকা একং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের মূল্য ২০ টাকা নির্ধারণের দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে সহজ ও কার্যকর একটি তামাক কর নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। এর মাধ্যমে তামাকের ব্যবহার হ্রাস এবং সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন বক্তারা।

এছাড়া সকল ই-সিগারেট এবং হিটেড (আইকিউওএস) তামাকপণ্যের উৎপাদন, আমদানি এবং বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির প্রকল্প পরিচালক গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক, দ্য ইউনিয়নের কারিগরী পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলম, প্রত্যাশা মাদকবিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, এইড ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বকুল, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক (প্রশাসন) গাউস পিয়ারী প্রমুখ।