সুপ্রভাতের বাস চলার আবেদন ৩০ দিনে নিষ্পত্তির নির্দেশ

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আবরার চৌধুরীর মৃত্যুর পর বন্ধ করা সুপ্রভাত পরিবহনের ১৬৩টি বাস চলাচলের অনুমতির আবেদন ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বিআরটিএর চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 April 2019, 07:17 AM
Updated : 16 April 2019, 07:22 AM

একটি রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবু ইয়াহিয়া দুলাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পূরবী রানী সাহা ও পূরবী রানী শর্মা।

গত ১৯ মার্চ যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে সুপ্রভাতে পরিবহনের একটি বাসের চাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র আবরার চৌধুরী মারা গেলে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা নামে আন্দোলনে।

পরদিন বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ এক নির্দেশে সুপ্রভাত পরিবহনের ১৬৩ বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। এরপর গত ১ এপ্রিল সুপ্রভাত পরিবহন কর্তৃপক্ষ বাস চলাচলের অনুমতি চেয়ে বিআরটিএ-তে চিঠি দেয়।

অ্যাডভোকেট দুলাল সাংবাদিকদের বলেন, “কিন্তু বাস চলাচলের অনুমতি না পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে বিআরটিএকে উকিল নোটিস দেয় সুপ্রভাত পরিবহন কর্তৃপক্ষ।

“উকিল নোটিসের জবাব না পেয়ে সোমবার হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেন সুপ্রভাত পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফ আলী। সে রিটের শুনানি নিয়ে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ দিয়ে আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দেওয়া হয়েছে।”

গত ২০ মার্চ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএ’র র উপপরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) শফিকুজ্জামান ভূঞা স্বাক্ষরিত চিঠিতে সুপ্রভাতের পাশাপাশি জাবালে নূর পরিবহনের সব বাস ও মিনিবাস চলাচল বন্ধের নির্দেশও দেওয়া হয়।

জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় গত বছর প্রাণ হারিয়েছিলেন রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী। ওই ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের নজিরবিহীন আন্দোলনে রাজধানীর সড়ক অচল হয়ে পড়েছিল।

এদিকে বাস বন্ধের নির্দেশনা দেওয়ার পর ২১ মার্চ সুপ্রভাত ও জাবালে নূর পরিবহনের সব বাসের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করতে বিআরটিএর পরিচালক সিরাজুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।

সেই কমিটি সুপ্রভাত পরিবহনের ১৬৩টি এবং জাবালে নূর পরিবহনের ২৯টি বাসের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। সে প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সুপ্রভাত পরিবহনের ১৬৩টি বাসের মধ্যে ১৪৫টিরই সড়কে চলার মতো সনদ নেই।

বিআরটিএ জানায়, সুপ্রভাতের বাসের ঢাকার মহাখালী থেকে টঙ্গী, কালিগঞ্জ, নরসিংদী, ভৈরব হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত চলাচল করার কথা। কিন্তু সেই রুটে চলাচল না করে সদরঘাট থেকে টঙ্গী রুটে চালানো হচ্ছিল।