সোমবার ৬৪ জেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে বলে ইসির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) আশাদুল হক জানিয়েছেন।
হারানো কার্ডের ডুপ্লিকেট সংগ্রহের জন্য উপজেলা থেকে ঢাকায় আসা কষ্টসাধ্য। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নাগরিক ভোগান্তি কমাতে শুধু হারানো কার্ড ছাপানোর ক্ষমতা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে দেওয়ার জন্য ২০১৭ সালে প্রস্তাব আসে। এর ধারাবাহিকতায় এনআইডি সেবা বিকেন্দ্রীকরণ করা হল এবার।
সহকারী পরিচালক আশাদুল হক জানান, নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে ১০টি আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে এই কার্ড প্রিন্টের ব্যবস্থা করেছিল। এখন কেন্দ্রীয় সেবার পাশাপাশি সারা দেশেই জেলা নির্বাচন অফিস থেকে নাগরিকরা এই সুবিধা পাবেন।
বর্তমানে ৬৪ জেলার সঙ্গে ইসির কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারের সঙ্গে কানেক্টিভিটি সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি জেলায় দুটি করে প্রিন্টার, লেমেনেটিং মেশিন ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি কেনা হয়েছে।
সোমবার এনআইডি উইংয়ের পরিচালক আরাফাত আরা স্বাক্ষরিত চিঠিতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা ভোটারদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে গত ১৩ জানুয়ারি মাসিক সমন্বয় সভায় হারানো জতীয় পরিচয়পত্র পুনঃমুদ্রণ সংক্রান্ত কার্যক্রম পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩ জেলাসহ দেশের সব জেলাসয় বিকেন্দ্রীকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ লক্ষ্যে কানেক্টিভিটি স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে।
কার্ড সংশোধন, ডুপ্লিকেট এনআইডি কার্ড সংগ্রহসহ নানা ধরনের সেবা নিতে প্রতিদিন শত নাগরিক ভিড় করে ইসির ইটিআই ভবনে। এনআইডির সব ধরনের সেবা কার্যক্রম কেন্দ্রীভূত থাকায় এক শ্রেণির অসাধু লোকের অর্থ আদায়সহ নাগরিকদের হয়রানি করার অভিযোগও রয়েছে।
কেন্দ্রীয়ভাবে আগারগাঁওয়ের পাশাপাশি দেশের পাঁচ শতাধিক উপজেলা নির্বাচন অফিসে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা দিতে আবেদনপত্র নেওয়া হয়।
নতুন ভোটার হতে কোনো ধরনের ফি না লাগলেও অন্য সেবা নিতে নির্ধারিত ফি দিতে হয়। সেক্ষেত্রে জরুরি ও সাধারণ সেবায় ৭ দিন থেকে এক মাস সময় লাগে।