সোমবার দুপুরে হকারদের ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে গিয়ে এ স্মারকলিপি দেয়।
পল্টনের বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক হকার মিছিল নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাব হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে রওনা হলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
প্রেস ক্লাবের সামনে বাধা ঠেলে মিছিলটি এগিয়ে গেলে হাই কোর্টের সামনে এসে ফের পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। সেখানেই সমাবেশ করে হকাররা।
সমাবেশে হকার্স ইউনিয়নের কার্যকরি সভাপতি মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, “পুনর্বাসন আমরা চাই, তবে উচ্ছেদ আগে নয়। আগে পুনর্বাসন, পরে উচ্ছেদ। পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ চলবে না।”
বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেকান্দার হায়াৎ বলেন, “ঢাকা মহানগরীর চার লাখ হকার বেকার হয়ে গেছে। তিন মাস যাবৎ তাদের সংসার চলছে না। তাদের ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, এই অবস্থায় হকারি পেশা ও তাদের জীবন ধারণের পথ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে।
“পেটের তাগিদে কেউ কেউ বিপথে চলে যেতে পারে। এতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটবে। যাতে হকারদের জীবন-জীবিকার ক্ষতি না হয় সেই দিক বিবেচনা করে আগে উচ্ছেদ করবেন না; উচ্ছেদ যদি করতেই হয় তাহলে পুনর্বাসন করুন।”
হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হাসেম কবীর বলেন, “আমরা মেয়রের কাছে কোনো ধরনের সহায়তা না পেয়ে বাধ্য হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছি।”
প্রায় আধা ঘণ্টা হাই কোর্টের সামনের রাস্তা অবরোধ করে সমাবেশ শেষে স্মারকলিপি দিতে যান হকার্স ইউনিয়নের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি। এরপর রাস্তা ছেড়ে দেন সমাবেশের হকাররা।