বাবুল চিশতীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন

জালিয়াতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অর্থ পাচারের অভিযোগের এক মামলায় ফারমার্স ব্যাংকের (পদ্মা ব্যাংক) সাবেক অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী) এবং তার স্ত্রী, ছেলেসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 April 2019, 07:29 PM
Updated : 8 April 2019, 07:29 PM

সোমবার কমিশন এ অনুমোদন দেয় বলে দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাবুল চিশতী ছাড়াও তার স্ত্রী রুজী চিশতী, ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, ব্যাংকটির সাবেক জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়া উদ্দিন আহমেদ ও ব্যাংকটির জামালপুরের বকশীগঞ্জ শাখার সাবেক ফার্স্ট প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান খানকে অভিযোগপত্রে আসামি করা হচ্ছে।

শিগগিরই আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে বলে জানান প্রনব।

গত বছরের ১০ এপ্রিল মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ ধারার ওই পাঁজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান থানায় দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এরপর তিনিই মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান।

মামলার পর ওই দিনই সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে বাবুল চিশতী, তার ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, জিয়া উদ্দিন আহমেদ ও মাসুদুর রহমান খানকেও গ্রেপ্তারও করে দুদক। এরপর তাদেরকে আদালতে উপস্থাপন করে কয়েক দফা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

এ মামলা দায়েরের এক বছরের মাথায় তদন্ত শেষে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

এজাহারে বলা হয়, ফারমার্স ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাধ্যমে ব্যাংকিং নিয়মের তোয়াক্কা না করে বাবুল চিশতী ব্যাংকটির গুলশান শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা ও উত্তোলন করেন।

এরপর বিভিন্ন সময়ে বাবুল চিশতী তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়েদের ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন শাখায় থাকা মোট ২৫টি হিসাবে অর্থ নগদ ও পে অর্ডারের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকার ‘সন্দেহজনক’ লেনদেন করেছেন।

এ মামলাটি ছাড়াও বাবুল চিশতীর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে আরও দুইটি মামলা করে দুদক। গত বছরের ৮ অগাস্ট গুলশান থানায় করা মামলায় বাবুল চিশতীর বিরুদ্ধে ফারমার্স ব্যাংকের অর্থে প্রভাব খাটিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

এরপর একই বছরের ২৮ অক্টোবর একই থানায় করা মামলায় একটি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ২৯ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া ও সেই অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয় বাবুল চিশতীর বিরুদ্ধে। এ মামলায় তার সাথে আরও পাঁচজনকে আসামি করে দুদক।