এফআর টাওয়ারে অনিয়ম অনুসন্ধানে দুদক

বনানীর এফআর টাওয়ার নির্মাণে রাজউক কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে ১৮ তলা নকশার উপর অবৈধভাবে ২৩ তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 April 2019, 11:16 AM
Updated : 3 April 2019, 11:18 AM

বুধবার কমিশন এ সিদ্ধান্ত নেয় বলে দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টচার্য্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, দুদকের উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিকীকে এই অভিযোগের অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এফআর টাওয়ারের জমির মালিক এস এম এইচ ফারুক হোসেন, ভবন নির্মাতা রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল, ভবনটির মালিক সমিতির সভাপতি কাশেম ড্রাইসেল ব্যাটারির মালিক তাসভীরুল ইসলাম এবং রাজউকের সংশ্লিষ্ট ইমারত পরিদর্শকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা অবৈধভাবে কোনো সম্পদ অর্জন করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাকে।

গত ২৮ মার্চ এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের পর জানা যায় যে নকশা বহির্ভূতভাবে ভবনটিতে তলা বাড়ানো হয়েছিল।

দুদকে অভিযোগ এসেছে, এফ আর (ফারুক রূপায়ন) টাওয়ারের মালিক এস এম এইচ আই ফারুক হোসেন ও অন্যান্যরা রাজউক কর্মকর্তাদেরকে ঘুষ দিয়ে ১৮ তলা নকশার উপর অবৈধভাবে ২৩ তলা ভবন নির্মাণ করেন।

ফারুক হোসেন ১৯৯৬ সালে তার মালিকানাধীন ১০ কাঠা জায়গাতে ১৮ তলা ভবন নির্মাণের জন্য রাজউকে আবেদন করেন। ২০০৩ সালে রাজউক অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মাণের জন্য মালিকের ৪৫ শতাংশ ও ডেভেলপারের ৫৫ শতাংশ হিসেবে রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলীর সঙ্গে রাজউকের মাধ্যমে আমমোক্তারনামা চুক্তি করেন।

দুদক অভিযোগ পেয়েছে যে ২০০৫ সালে ফারুক রাজউক ‘অনুমোদিত নকশায়’ ২৩ তলা ভবন নির্মাণের কথা জানানো হয়। ২০০৭ সালে বিষয়টি তদন্ত করে অনুমোদিত নকশায় অতিরিক্ত পাঁচতলা নির্মাণেন প্রমাণ পেয়েও কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়নি রাজউক। রাজউক কর্মকর্তারা ঘুষ নিয়ে অবৈধভাবে নির্মিত অংশ বিক্রির অনুমোদন দিলে কাশেম ড্রাইসেলের মালিক তাসভীরুল তা কেনেন।

অগ্নিকাণ্ডের পর গত ৩১ মার্চ দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “এফআর টাওয়ারের ১৮ তলা অনুমোদন নিয়ে ২৩ তলা করেছে। এই অনিয়মের সঙ্গে কারা জড়িত, এটা আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসছে এবং বেরিয়ে আসবে।

“যদি এরা কোথাও থেকে ছাড়া পায়, দুদক থেকে তারা ছাড়া পাবে না। এভাবে জনগণকে নিয়ে ছিনিবিনি খেলা এটা আর সহ্য করা উচিত না। তারা কোর্ট থেকেও ছাড়া পেলেও দুদক থেকে ছাড়া পাবে না।”