বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার মধ্যে প্রক্টর কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ জমা নেওয়া হবে বলে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক সাজেদা বানুকে উদ্ধৃত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
তিন দশক পর গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করে অধিকাংশ প্যানেল। এই নির্বাচনে দুটি বাদে অন্য সব পদে ছাত্রলীগ জয়ী হয়েছে। ভিপি পদে জয়ী কোটা আন্দোলনকারীদের নেতা নুরুল হক নূরও পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনিয়মের অভিযোগ প্রত্যাখ্যানের পর নবনির্বাচিত ডাকসুর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হলেও গত ২১ মার্চ অধ্যাপক সাজেদার নেতৃত্বে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
মঙ্গলবারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তির যদি আরও কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে তবে তা লিখিতভাবে তথ্য-প্রমাণাদিসহ নিজের বিস্তারিত পরিচয় (মোবাইল নম্বরসহ) কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক মো. মাকসুদুর রহমানের কাছে জমা দেওয়ার অনুরোধ করা যাচ্ছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক সাজেদা বানু নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. ইমদাদুল হক, স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রাধ্যক্ষ মো. মহিউদ্দিন, অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফিক উজ জামান, সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এবং পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শারমিন রুমি আলীম।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্ত নিতে ‘অনেকটা দেরি করেছে’ বলে মন্তব্যের পাশাপাশি তদন্ত কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন ভোট বর্জনকারী ছাত্র ফেডারেশনের জিএস প্রার্থী উম্মে হাবিবা বেনজীর।