সোমবার বনানীতে বিআরটিএ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সঙ্গে এক যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
ওই সভায় গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভের (গেট্স) প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গণপরিবহনে ধূমপানের একটি চিত্র তুলে ধরা হয়।
পরে বিআরটিএ-এর চেয়ারম্যান মো. মশিয়ার রহমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে গণপরিবহনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত জানান।
২০১৭ সালে প্রকাশিত গেট্সের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে ‘পাবলিক প্লেসে’ ধূমপান নিষিদ্ধ হওয়ার পরও প্রতিবছর গণপরিবহনে যাতায়াতের সময় প্রায় আড়াই কোটি মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, ‘পাবলিক প্লেসে’ ও ‘পাবলিক পরিবহনে’ ধূমপানের জরিমানা ৩০০ টাকা।
পাবলিক প্লেস ও পরিবহন ধূমপানমুক্ত রাখতে না পারলে মালিক বা ব্যবস্থাপকদের জরিমানা হবে ৫০০ টাকা।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, অভিযান শুরুর আগে সচেতনতার অংশ হিসাবে ধূমপানের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে আগামী দুই মাসের মধ্যে পরিবহনে সতর্কবার্তা দেখানোর ব্যবস্থা করা হবে।
বিআরটিএ-এর পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই যৌথসভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিড্স-এর গ্র্যান্ডস ম্যানেজার আব্দুস সালাম মিঞাঁ, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের প্রধান ইকবাল মাসুদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহকারী পরিচালক ও তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী মো. মোখলেছুর রহমান সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।