সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক জিয়াসহ ছয়জনকে আসামি করে গত ১৩ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্রটি দিয়েছিল পুলিশ।
সোমবার মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী অভিযোগপত্রটিতে স্বাক্ষর করে বিচারের জন্য মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে বদলি করেন বলে ওই আদালতে পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই নিজাম উদ্দিন জানিয়েছেন।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে নিয়ে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে জঙ্গি কায়দায় হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী অভিজিৎ। চাপাতির আঘাতে আঙুল হারান তার স্ত্রী।
পদার্থবিদ অধ্যাপক অজয় রায়ের ছেলে অভিজিৎ থাকতেন যুক্তরাষ্ট্রে। বিজ্ঞানের নানা বিষয় নিয়ে লেখালেখির পাশাপাশি মুক্তমনা ব্লগ সাইট পরিচালনা করতেন তিনি। জঙ্গিদের হুমকির মুখেও তিনি বইমেলায় অংশ নিতে দেশে এসেছিলেন।
ঘটনার পর শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন অধ্যাপক অজয় রায়। ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হাত ঘুরে মামলাটির তদন্তভার কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের হাতে যায়।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মুহম্মদ মনিরুল ইসলাম ছয়জনকে আসামি ও ৩৪ জনকে সাক্ষী করে অভিযোগপত্র দেন আদালতে।
জিয়া ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আকরাম হোসেন ওরফে আবির, মো. মুকুল রানা ওরফে শরিফুল ইসলাম ওরফে হাদী, মো. আরাফাত রহমান, শফিউর রহমান ফারাবি।
এদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম পলাতক রয়েছেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের আসামিরা জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য। হত্যাকাণ্ডে ১২ জনের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেলেও তাদের মধ্যে পাঁচজনের পূর্ণঙ্গ নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি। একজন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যাওয়ায় অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়েছে মোট ছয়জনকে।