শেখ হাসিনাসহ ৩ নারী রাষ্ট্রনেতার প্রশংসায় জাতিসংঘ ‍উপদেষ্টা

বিশ্বে সঙ্কটকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য দুই নারী রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘের বিশেষ উপদেষ্টা আদামা দিয়েং।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 March 2019, 05:14 PM
Updated : 24 March 2019, 05:19 PM

জাতিসংঘের বাংলাদেশ সফররত এই উপদেষ্টা রোববার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় শক্তিমান রাষ্ট্রনেতা হিসেবে তিন নারী শেখ হাসিনা, আঙ্গেলা মের্কেল ও জেসিন্ডা অ’ডুর্নের নাম নেন।

ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সাম্প্রতিক হামলার পর পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ’ডুর্ন যে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছেন, তার প্রশংসা চলছে বিশ্বজুড়ে।

সিরীয় শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্ববাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন এক যুগের বেশ সময় জার্মানির চ্যান্সেললের দায়িত্ব পালন করে যাওয়া মের্কেল।

দুই বছর আগে মিয়ানমারে নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়ে বিশ্ববাসীর প্রশংসায় ভাসছেন টানা তৃতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়া শেখ হাসিনা।

জাতিসংঘ মহাসচিবের গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক উপদেষ্টা দিয়েং এই প্রসঙ্গ তুলে বলেন, যখন রোহিঙ্গা সঙ্কট এল, তখন শেখ হাসিনা তার হাত বাড়িয়ে দিলেন এই নিপীড়িত জনগোষ্ঠীকে গ্রহণ করতে।

রোহিঙ্গাদের স্বাগত জানানোয় বাংলাদেশিদের ভূমিকার প্রশংসাও করেন তিনি।

মিয়ারমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর আক্রমণকে গণহত্যার সঙ্গে তুলনা করছে জাতিসংঘ। প্রাণ বাঁচাতে ৮ লাখের মতো রোহিঙ্গা এই দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে এদেশে ছিল ৪ লাখের মতো রোহিঙ্গা।

রোববার বাংলাদেশ ইনস্টিটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন দিয়েং।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাতে জাতিসংঘ মহাসচিবের উপদেষ্টা আদামা দিয়েং

বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করেও রোহিঙ্গাদের এখনও ফেরত না নেওয়ায় মিয়ানমারের সরকারের সমালোচনা করেন তিনি।

জাতিসংঘ মহাসচিবের উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি তারা যেন নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে রাখাইনে বসবাস করতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য মিয়ারমারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে বিশ্ববাসীকে।

একাত্তরে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যা নিয়ে এই আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, এক রাতেই নিহত হন হাজার হাজার মানুষ।

সেই রাতকে কালরাত হিসেবেই স্মরণ করে বাংলাদেশ। ওই দিনটি সারাবিশ্বে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনে জাতিসংঘের স্বীকৃতিও চাওয়া হচ্ছে।

আলোচনা সভায় বক্তারা এই প্রসঙ্গ তুললে জাতিসংঘ মহাসচিবের উপদেষ্টা দিয়েং বলেন, এটা তার এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না।