শনিবার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে ‘অনন্যা শীর্ষদশ সম্মাননা ২০১৮’ দেওয়া হয়।
খেলাধুলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রুমানা আহমেদকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে পরিবার ও এলাকার মানুষের সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন তিনি।
এবার সম্মাননাপ্রাপ্ত অন্য নারীরা হলেন- ‘সায়েবাস মেথড’-এর উদ্ভাবক চিকিৎসক ডা. সায়েবা আক্তার (চিকিৎসা), গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক পারভীন মাহমুদ (ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন), গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার (প্রশাসন), খান’স কিচেনের উদ্যোক্তা আফরোজা খান (উদ্যোক্তা), হস্তশিল্পী সোনা রানী রায় (কুটিরশিল্প), সাংবাদিক লাইলী বেগম (সাংবাদিকতা), বাংলাদেশের পর্যটক নাজমুন নাহার (তারুণ্যের আইকন), মনিপুরী নৃত্যশিল্পী সুইটি দাস চৌধুরী (নৃত্যশিল্পী) ও গৃহকর্মী থেকে মাইক্রোসফটের দূত ফাতেমা খাতুন (প্রযুক্তি)।
এই কৃতী নারীদের উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি স্মারক ও সনদ দেওয়া হয়। সম্মাননা তুলে দেন অভিনয়শিল্পী ও সংসদ সদস্য সুবর্ণা মুস্তাফা এবং সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক।
অনুষ্ঠানে অনন্যা সম্পাদক ও প্রকাশক তাসমিমা হোসেন বলেন, “নারীদের প্রতি অনাচারের কথা নারীদেরই বলতে হবে। দাবি না তুললে, কথা না বললে সমাজ থেকে অন্ধকার দূর হবে না। এখনও সময়টা নারীদের জন্য খুব অনুকূল নয়। যৌন নিগ্রহ সমাজ থেকে এখনও দূর করা যায়নি। উগ্রমৌলবাদীরা নারীর অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। নিজেদের বঞ্চনার কথা বলতে এখনও মেয়েরা ভয় পায়।”
সম্মাননাপ্রাপ্ত খান’স কিচেনের উদ্যোক্তা আফরোজা খান বলেন, “দুপুরে মানুষের খাবারের সমস্যার সমাধান করতেই মূলত আমি কাজ শুরু করি। ২০১৭ সাল থেকে আমি কাজ করছি। এক দেড় বছরের মধ্যেই মানুষের বিপুল সাড়া পেয়েছি।
“মেয়েরা প্রতিটা কাজেই এগিয়ে যেতে পারে। পিছনে না তাকিয়ে তাদের এগিয়ে যেতে হবে।”
সাংবাদিক লাইলী বেগম বলেন, “নারী সাংবাদিক হওয়ার কথা ছিল না। প্রয়োজনের টানে আমি কাজ শুরু করি। নানা কাজ করে আমি সাংবাদিকতা শুরু করি। মফস্বলে মেয়েদের সাংবাদিকতা করা খুব কঠিন। কিন্তু আমি সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি।”