জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শনিবার তাদের ঢাকায় এনে আপ্যায়ন করেন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।
শতাধিক শিশুর সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া, ঘোরাফেরা ও গল্প করে দিনের অনেকটা সময় পার করেন তিনি।
বেলা ১২টার পর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনারের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, মেরুন রঙের জামা পরে শিশুরা বসে আছে খাবার টেবিলে। তাদের খাবার এগিয়ে দিতে ব্যস্ত তেজগাঁও থানা পুলিশের সদস্যরা।
পোলাও, মুরগি রোস্ট, খাশির রেজালার পর মিষ্টিও দেওয়া হয় তাদের পাতে।
এরমধ্যে সেখানে উপস্থিত হন পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার। শিশুদের খাবারের খোঁজ-খবর নেওয়ার পাশাপাশি তাদের সঙ্গে নানা গল্প করেন তিনি।
পরে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চেয়েছিলেন। তাই আমরাও টাঙ্গাইলের ফ্রেন্ডস স্কুল থেকে সুবিধাবঞ্চিত শতাধিক শিশুকে ঢাকায় আমন্ত্রণ করেছি। তাদের বাসে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে।
টাঙ্গাইল ফ্রেন্ডস স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ইয়াসমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলে, “আমার বোন জেসমিনসহ স্যাররা আমাকে টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় নিয়ে এসেছেন। এর আগে আমরা কোনো দিন ঢাকায় আসি নাই। কোনো দিন বাসেও চড়ি নাই। আজকে প্রথম অনেক কিছুই হইল।
“আমাদের শিশু পার্কে নিয়ে যাওয়া হবে। মজার মজার খাবার দেওয়া হয়েছে। আমরা খুব খুশি।”
এ সময় তার পাশে থাকা সোমাইয়া আক্তার বলে, আগে ঢাকার নাম শুনেছে সে। কিন্তু কোনদিন আসে নাই।
“আজকে এখানে সবাই এসে মজা লাগছে।”
তাদের আরেক বান্ধবী খাদিজা বেগম অবশ্য এর আগে একবার ঢাকা এলেও তার অভিজ্ঞতা ভালো ছিল না।
“আমার জামা হারিয়ে গিয়েছিল। তাই ঢাকায় আসতে চাইতাম না। কিন্তু এখন ঢাকায় এসে ভালো লাগছে।”
তাদের থেকে কিছু দূরে খাবার টেবিলে বসা প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. সবুজ বলেন, “আমরা এখনও জানি না কেন আমরা ঢাকায় এসেছি। তবে সবার সাথে খুব আনন্দ করতে পারছি।”
পরে শিশুদের নিয়ে যাওয়া হয় ধানমণ্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে। সেখান থেকে নেওয়া হয় শ্যামলী শিশু মেলায়।
এই বিনোদন কেন্দ্রে শিশুদের মনমতো ঘোরাঘুরির পর সন্ধ্যায় তাদের গাড়িতে করে পাঠানো হয় টাঙ্গাইলে নিজেদের ঠিকানায়। এ সময় প্রত্যেককে রাতের খাবারও দেওয়া হয়।
তেজগাঁও উপ-কমিশনারের কার্যালয়ে শিশুদের আপ্যায়ন অনুষ্ঠানে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়সহ বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।