চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী সং তাও বৃহস্পতিবার বিকেলে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “চায়না গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে মন্তব্য করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের পাঠানোর ব্যাপারে চীনের সহযোগিতা চেয়েছেন।”
মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের কীভাবে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যায়, তা নিয়ে চীন ইতোমধ্যে ‘কাজ শুরু করেছে’ বলে জানান সে দেশের ক্ষমতাসীন দলের নেতা সং তাও।
নজরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন চীনের এই নেতা।
“তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও সিসিপি একই ধরনের মতাদর্শে বিশ্বাসী। এই দুই দল, সরকার ও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হবে।”
সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে চীন সফরের আমন্ত্রণও জানান সং তাও।
চীনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্যতম অংশীদার চীন।
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে চীনের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।
১৯৫২ ও ১৯৫৬ সালে বঙ্গবন্ধুর চীন সফরের কথাও স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টি এবং দুই দেশের সরকারের মধ্যে সম্পর্ক গভীর থেকে গভীরতর হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে চীনের জন্য ৭০০ একর জমির ওপর একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হয়েছে।
নজরুল ইসলাম বলেন, মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য মিয়ানমার থেকে গ্যাস নিয়ে আসতে চীনাদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
একইসঙ্গে কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য চীনাদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এই সৌজন্য সাক্ষাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে সহযোগিতামূলক একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছয় সদস্যের চীনা প্রতিনিধি দলের বৈঠকে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে ফারুক খান, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, শাম্মী আহমেদ, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে চীনা প্রতিনিধিরা ঢাকায় পৌঁছলে বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, শাম্মী আহমেদ ও বিপ্লব বড়ুয়া।