আবরারকে চাপা দেওয়া বাসটির চালক রিমান্ডে

ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী বাসচাপায় নিহত হওয়ার পর সুপ্রভাত পরিবহনের যে চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 March 2019, 04:47 PM
Updated : 27 March 2019, 12:56 PM

সিরাজুল ইসলাম (২৪) নামে এই চালকের হালকা গাড়ি চালানোর লাইসেন্স নিয়েই নিয়ম ভেঙে বাসের মতো ভারী যান চালাচ্ছিলেন বলে ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম ইতোমধ্যে জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার সকালে বারিধারার পাশে নদ্দায় বাংলাদেশে ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের ছাত্র আবরারকে চাপা দেয় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাস। তখনই চালক সিরাজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এই ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার নদ্দায় প্রগতি সরণি আটকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে দিনভর বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।

রাতে গুলশান থানায় মামলা করেন আবরারের বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আরিফ আহমেদ চৌধুরী। তাতে বাসচালক সিরাজের সঙ্গে তার সহকারী ও বাসের মালিককেও আসামি করা হয়।

সড়কে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ দ্বিতীয় দিনের মতো চলার মধ্যে বুধবার বিকালে বাসচালক সিরাজকে ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন হেফাজতে চেয়ে ঢাকার আদালতে নেয় পুলিশ।

গুলশান থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আমিনুল ইসলামের ওই আবেদনে মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী বাসচালক সিরাজকে সাত দিন পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।

এসময় সিরাজের পক্ষে জামিনের আবেদন হলে তা নাকচ করেন বিচারক।

দণ্ডবিধির ২৭৯/৩৩৮(ক)/৩০৪/১০৯ ধারার করা এ মামলায় রিমান্ডের আবেদনে ‍পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই ঘটনাটি ‘ইচ্ছাকৃত’, এটা অবহেলার কারণে ঘটেনি। ভীষণ আবেগতাড়িত শিক্ষার্থীদের ব্যথায় সারা দেশের মানুষ ব্যথিত।

আবরারকে চাপা দেওয়ার আগে সিরাজ আরেকজনকে বাসের ধাক্কায় জখম করেছিলেন বলে দাবি করে পুলিশ।

সুপ্রভাত পরিবহন ঢাকার উত্তরা থেকে সদরঘাট রুটে চলাচল করে।

আবরারের মৃত্যুর পর শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মধ্যে প্রথমে সিরাজের চালানো বাসটির নিবন্ধন বাতিল করেছিল বিআরটিএ; বুধবার এই পরিবহন কোম্পানির সব বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়।