প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ: বাফুফের কিরণের জামিন

প্রধানমন্ত্রীকে ‘কটাক্ষ’ করে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে মানহানির মামলায় গ্রেপ্তার বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণকে জামিন দিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 March 2019, 10:59 AM
Updated : 19 March 2019, 10:59 AM

জামিন আবেদনের শুনানি করে মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী ২ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।

কিরণের পক্ষে জামিন আবেদনের ওপর শুনানি করেন লিয়াকত হোসেন। অন্যদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রেফায়েতুল করিম লেলিন জামিনের বিরোধিতা করেন। 

এ মামলার বাদী আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স ঢাকার শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের স্থায়ী সদস্য এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক।

প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে গত ১২ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে তিনি এই মানহানির মামলা করেন। 

মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী তা আমলে নিয়ে কিরণের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে ১৬ মার্চ দুপুরে ধানমন্ডি কেয়ারি প্লাজার পেছন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সেদিন বিকলে কিরণকে আদালতে হাজির করা হলে মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমান জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মাহফুজা কিরণ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি ফিফার রুলিং কাউন্সিলে এশিয়া অঞ্চলের নারী প্রতিনিধি।

গত ৮ মার্চ বাফুফে দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে মাহফুজার বক্তব্যের সূত্র ধরে মানহানির মামলাটি করেছেন আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স।

মামলায় অভিযোগ, ওই সংবাদ সম্মেলনে কিরণ বলেছিলেন, “পিএম (প্রধানমন্ত্রী) হিসাবে সব খেলাই তার কাছে সমান। তিনি সেখানে কেন দু’চোখে দেখবেন। মেয়েরা ব্যাক টু ব্যাক চ্যাম্পিয়ন। গিফট তো পরের কথা। অভিনন্দন তো দিতে পারেন। মিডিয়াতে কি কোনো অভিনন্দন জানিয়েছেন?

“বিএফএফের (বাফুফে) টাকা কেন প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে দেওয়া হবে? প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিসিবির অনেক স্বার্থ আছে। বিসিবি সরকারের অনেক ফ্যাসিলিটিজ নেয়। চুন থেকে পান খসলেই প্লট পেয়ে যায়, গাড়ি পেয়ে যায়। বিএফএফ সরকারের কাছে থেকে কোনো ফ্যাসিলিটিজ নেয় না।”

তার এই বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি ফুটবল ও ক্রিকেট সংগঠকদের মানহানি হয়েছে অভিযোগ করে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলাটি করেন আবু হাসান।

কিরণ গ্রেপ্তার হওয়ার পর ফুটবলের বিশ্ব সংস্থা ফিফা এবং এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেওয়া হয়।

তার মুক্তি দাবি করে সোমবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে বলা হয়, মাহফুজা আক্তার কিরণ যা বলেছেন, তা তার বাক-স্বাধীনতার অংশ। ফুটবলকে এগিয়ে রাখার জন্য কথা বলা কোনোভাবেই অপরাধ হতে পারে না।