দৈনিক দেশ রূপান্তরের অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদক ইমন রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, সোমবার দুপুর দেড়টায় ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে এ ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনার জন্য খাদ্যমন্ত্রীর স্বজনদের দায়ী করেছেন এই সাংবাদিক।
রোববার মৃত্যু ঘটে খাদ্যমন্ত্রীর জামাতা ডা. রাজন কর্মকারের। রাজনের পরিবারের সন্দেহ, এটি হত্যাকাণ্ড। তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে নিয়েছে।
ইমন বলেন, “মন্ত্রীর জামাতার মৃত্যুর সংবাদের ফলোআপ করার উদ্দেশ্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে যাই। মন্ত্রীর স্বজনদের আহাজারির ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করলে তাদের সঙ্গে থাকা লোকজন মন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে আমার উপর হামলে পড়ে।
“৭/৮ জন চার দিক থেকে ঘিরে ধরে প্রথমে আমার থেকে ফোনটি কেড়ে নেয়। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। পরে মোবাইলটি পুলিশের কাছে দিয়ে দেয়।”
তোলা ছবিগুলো মুছে ফেলার শর্তে শেরেবাংলা নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনটি ফেরত পান বলে জানান ইমন।
এ বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জানে আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যাদের ছবি তোলা হয়েছে তারা আপত্তি করে পুলিশকে জানালে মোবাইল থেকে সেগুলো নিজেই ডিলিট করে দিয়েছেন সেই সাংবাদিক। আমি পুলিশের কোনো কর্মকর্তাকে ছবি ডিলিট করতে নির্দেশ দিইনি।”