বাতিঘর মাসুল না দিলে আটক করা হবে জাহাজ

বাতিঘর মাসুল পরিশোধ না করে কোনো জাহাজ নৌপথে চলাচল করলে তা আটকে রাখা হবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 March 2019, 12:10 PM
Updated : 18 March 2019, 12:10 PM

এমন বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ বাতিঘর আইন, ২০১৯’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়।

সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ১৯২৭ সালের দ্য লাইট হাউজ অ্যাক্ট রয়েছে। এর মধ্যে অনেক পরিবর্তন হয়েছে, তাই প্রেক্ষাপটেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।

দেশের বিভিন্ন বন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বাতিঘর পরিচালিত হয় জানিয়ে শফিউল বলেন, “বাতিঘরের উপর মাসুল আরোপ করার বিধান আগে থেকেই ছিল, এটি একটু সহজীকরণ করা হয়েছে।

“বলা হয়েছে- বাংলাদেশের বন্দরে আগত ও প্রত্যাগত এবং এক বন্দর থেকে অন্য বন্দরে যাতায়াতের জন্য জাহাজগুলেোকে দিক নির্দেশনা দেওয়ার সুবিধার্থে বাতিঘরের সেবা দিতে সরকার এ আইনের অধীন প্রত্যেক আগমন ও প্রত্যাগমনকারী জাহাজের জন্য সময়ে সময়ে বাতিঘরের মাসুল নির্ধারণ এবং বাতিঘর মাসুল সংগ্রহ করতে পারবে।”

শফিউল বলেন, “বাংলাদেশের যে কোনো আগমন ও প্রত্যাগমনের সময় জাহাজের মালিক, এজেন্ট বা মাস্টারকে বাতিঘর মাসুল পরিশোধ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কাস্টমস কমিশনকে মাশুল কালেকশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

“যে জাহাজ মাশুল দেবে না সে জাহাজকে আটক করা যাবে। যতক্ষণ টাকা না দেবে ততক্ষণ পর্যন্ত সেটিকে সিজ করে রাখা যাবে, টাকা দিলে ছুটে যাবে।”

সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন অনুমোদন

‘বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৯’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

শফিউল বলেন, এ বিষয়ে ১৯৯৬ সালের বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন আছে। এই আইনের প্রেক্ষিতেই এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা পর্যালোচনা করে দেখেছেন চিনি শুধু আখ থেকে হয় না, আরও অনেকগুলো ক্রপ আছে।

“নতুন আইনে সুগারক্রপের সংজ্ঞার মধ্যে দেখানো হয়েছে অনেকগুলো ক্রপ। অর্থাৎ সুগারক্রপ অর্থ ইক্ষু, সুগার বিট, তাল, খেজুর, গোলপাতা ও অন্যান্য মিষ্টি জাতীয় ফসল বা বৃক্ষ যেগুলো থেকে চিনি হয়।”

শফিউল বলেন, “যদি আমরা ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট বলি তবে এর কাজ নির্দিষ্ট একটি এরিয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। শুধু ইক্ষু নিয়ে ডিল করবে। আরও তো অনেকগুলো শস্য বা ফসল থেকে চিনি তৈরি করা সম্ভব। এজন্য বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিবর্তে বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট নাম দেয়া হয়েছে।